নোবেলজয়ী অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ পীযূষ গোয়েলের, পাল্টা দিলেন ফিরহাদ হাকিম

Spread the love

শুক্রবার নোবেলজয়ী অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করেন কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল। অর্থনীতিতে নোবেলজয়ীর প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, আমি নোবেল জয়ের জন্য অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়কে অভিনন্দন জানাচ্ছি। কিন্তু আপনারা তো সবাই জানেন যে ওঁর চিন্তাভাবনা সম্পূর্ণই বামপন্থী মতাদর্শের। অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় কংগ্রেসের ‘ন্যায়’ প্রকল্পের অনেক গুণগান করেছিলেন। সেই ভাবনা পরবর্তীকালে ভারতের জনগণই খারিজ করে দিয়েছেন। আর এরই প্রত্যুত্তরে রাজ্যের পূর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী তথা কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম জানান অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়-এর মতো একজন নোবেলজয়ীর এর কর্মকান্ড নিয়ে কটাক্ষ বা সমালোচনা করার মতো যথেষ্ট যোগ্যতা আছে কিনা সেইটা সবার আগে ভাবা উচিত।

ফিরহাদ আরও বলেন, আমি যদি এই মুহূর্তে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে নিয়ে কোনো সমালোচনা মূলক কথা বলি তবে লোকে আমাকে পাগল ছাগল ভাববে। তাই যে বা যারা একজন উচ্চশিক্ষিত এবং দীর্ঘদিনের রিসার্চ ওয়ার্ক করা নভেলিস্ট সম্পর্কে কটাক্ষ করার সাহস দেখান তাদের আগে ভাবা উচিত যে তিনি সেই ব্যক্তি সমকক্ষ বা যোগ্য কিনা। যদি দেখা যায় যে তিনি তাঁর সমকক্ষ না হয়েও এহেন মন্তব্য করেছেন তবে আমার মতে তিনি হয় পাগল না হলে বিজেপি।

উল্লেখ্য, শুক্রবার কলকাতা পৌরসভার পক্ষ থেকে মেয়র ফিরহাদ হাকিমকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। সুদূর ডেনমার্কে সি-৪০ ওয়ার্ল্ড মেয়র সামিটে অংশ গ্রহণ করে কলকাতার বাতাসে কার্বনের পরিমাণ কমানো এবং উন্নয়নের পরিকাঠামো দ্রুত গঠন ও বাস্তবায়নের জন্য তিনি যে সম্মান পেয়েছেন তার জন্যেই এই সংবর্ধনা দেওয়া হয়। যদিও এই সংবর্ধনায় উপস্থিত হয়ে মেয়র জানান এই সম্মান শুধুমাত্র কলকাতার মেয়র-এর প্রাপ্য নয়। এই সম্মানের জন্য তিনি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কৃতজ্ঞতা জানান। তিনি বলেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগ এবং চিন্তাভাবনা বাস্তবায়নের মধ্যে দিয়েই এই লক্ষ্যপূরণ করা সম্ভব হয়েছে। কলকাতা পুরসভার আধিকারিক থেকে শুরু করে কর্মচারীবৃন্দ এবং নগর উন্নয়ন দফতরের আধিকারিক ও কর্মচারীবৃন্দের নিরলস প্রচেষ্টার মাধ্যমেই সফল হয়েছে। তাই দুই দেশের এই সম্মানের জন্য তিনি কলকাতা পুরসভা এবং পুর ও নগর উন্নয়ন দফতরের সব আধিকারিক ও কর্মচারীদের অংশীদার হিসাবে ধন্যবাদ জ্ঞাপণ করেন।

পাশাপাশি মেয়র আরও জানান, শুধুমাত্র কলকাতাই নয়, আগামী দিনে রাজ্যজুড়ে পরিবেশ দূষণের কথা মাথায় রেখে ধাপে ধাপে চালানো হবে বিদ্যুৎ বা ব্যাটারি চালিত যানবাহন। এছাড়া, শহর ও শহরতলী জুড়ে পরিবেশকে দূষণমুক্ত করার লক্ষ্যে সবুজায়ন প্রক্রিয়াকে আরও ব্যাপক হারে বাড়িয়ে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্তের কথা জানান রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম।

দেখুন ছবি-

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*