অভিনেত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ নাট্য পরিচালকের বিরুদ্ধে। সোশ্যাল মিডিয়ায় বিষয়টি পোস্ট করেন ওই অভিনেত্রী। ঘটনায় ধর্ষণের মামলা দায়ের করে ফুলবাগান থানার পুলিশ। সুদীপ্ত চট্টোপাধ্যায় নামে ওই পরিচালককে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন গোয়েন্দা প্রধান মুরলিধর শর্মা।
‘স্পেক্টেটরস’ নামে একটি নাটকের দল চালান ওই পরিচালক। তাঁর বাড়িতেই হয় মহড়া। সোশ্যাল মিডিয়ায় অভিনেত্রী লেখেন, ঘটনার দিন ওই বাড়িতেই তাঁকে ডাকেন পরিচালক। মহড়ার কথা বলা হয়। কিন্তু, সেখানে তিনি ছাড়া দলের আর কেউ ছিলেন না। এমনকি, পরিচালকের স্ত্রীও ছিলেন না। আর তাতে একটু খটকা লাগে তাঁর। অভিযোগ, ওই সময় অভিনয় শেখানোর নাম করে তাঁকে ধর্ষণ করেন পরিচালক। সেই সময়ও তাঁকে সংলাপ বলতে বাধ্য করা হয়। কিন্তু, ব্যথায় কুঁকড়ে যান তিনি। পরে আবারও ওই একই চেষ্টা করেন পরিচালক। তখন দৃঢ়তার সঙ্গে ‘না’ বলেছিলেন অভিনেত্রী। পরিচালক পিছিয়ে যান।
এই ঘটনার জেরে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন বলে জানান অভিনেত্রী। বেশ কিছুদিন পর অবশেষে এই ঘটনার প্রতিবাদ করে হোয়াটসঅ্যাপে পরিচালককে একটি মেসেজ করেন তিনি। পরিচালকের স্ত্রীও বিষয়টি জানতেন। সব কিছু জানা সত্ত্বেও অভিনেত্রীকে বিষয়টি ভুলে যেতে অনুরোধ করেন তিনি। পরে নাট্যদলের দুই সদস্যকে ঘটনার কথা জানিয়েছিলেন অভিনেত্রী। অভিযোগ, প্রভাবশালী ওই পরিচালকের বিরুদ্ধে ভয়ে মুখ খোলেননি কেউই।
উল্লেখ্য, একটি কলেজের মিডিয়া সায়েন্সের অধ্যাপক অভিযুক্ত পরিচালক। সেই কলেজেরই ছাত্রী ওই অভিনেত্রী। ১৪ অক্টোবর ঘটনার কথা লিখিতভাবে কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছে জানান তিনি। আর ঠিক তার পরের দিনই পদত্যাগ করেন অভিযুক্ত। ১৬ অক্টোবর ওই কলেজের তরফে একটি বৈঠকের আয়োজন করা হয়। সেখানেই তাঁর পদত্যাগের কথা জানানো হয়। এরপরই সোশাল মিডিয়ায় বিষয়টি জানান অভিনেত্রী। একে একে অনেকেই ওই পরিচালকের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে শুরু করেন। দু’বছর আগে তাঁকেও ধর্ষণ করেছিলেন বলে অভিযোগ করেছেন আরও এক অভিনেত্রী।
ফুলবাগান থানায় ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেন অভিনেত্রী। পাশাপাশি অন্য এক ছাত্রী পরিচালকের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ আনেন। সেই অভিযোগ দায়ের করা হয় বেলেঘাটা থানায়। এই অভিযোগের ভিত্তিতে শুক্রবার সন্ধেয় বেলেঘাটার বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয় সুদীপ্তকে।
Be the first to comment