নিরাপত্তা ইস্যুতে এবার সুব্রত মুখোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করলেন রাজ্যপাল

Spread the love

পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের নিরাপত্তার দায়িত্ব কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক CRPF-এর হাতে তুলে দেওয়ায় রাজ্য জুড়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে কটাক্ষ করেছেন পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় ৷ রবিবার সেই প্রসঙ্গে সুব্রতবাবুর পরোক্ষে সমালোচনা করেন রাজ্যপাল। এর আগেও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের কোর্ট বৈঠকে তিনি সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের নাম না করে কটাক্ষ করেছিলেন ৷ আজ শহরে চিকিৎসকদের একটি সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন তিনি ৷ সম্মেলনের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি সুব্রতবাবুকে কটাক্ষ করেন ৷

রাজ্যপাল বলেন, উনি (সুব্রত মুখোপাধ্যায়) বর্ষীয়ান মন্ত্রী। তিনি সিদ্ধার্থশঙ্কর রায় সরকারের সময়েও মন্ত্রী ছিলেন। শ্রদ্ধেয় ব্যক্তি। আমি তাঁকে আবেদন করছি, দয়া করে নিজের সরকারের কাছে খবর নিন ৷ এই রাজ্যপাল আপনার সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করার সবরকম পদক্ষেপ করেছে। রাজ্যপালের কাছে ফর্ম্যাল ও ইনফর্ম্যাল সব তথ্য আছে। এই ঘটনায় রাজভবন থেকে যে যোগাযোগ করা হয়েছিল তা নিয়ে সংবাদমাধ্যমে লেখাও হয়েছে। তাই আমি ওই অভিজ্ঞ মন্ত্রীকে আবেদন করব, আপনি সরকারের কারও সঙ্গে যোগাযোগ করুন যিনি এই বিষয়টা দেখছেন। খুঁজে বের করুন রাজভবন থেকে কোনও যোগাযোগ করা হয়েছিল কি না।

রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের নিরাপত্তায় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন নিয়ে কটাক্ষ করে সুব্রত মুখোপাধ্যায় বলেছিলেন, আমি পঞ্চাশ বছর ধরে বিধায়ক। এর আগে তো কখনও শুনিনি কোনও রাজ্যপাল নিরাপত্তার অভাব বোধ করেছেন। তিনি তো নিজেই সাংবিধানিক প্রধান। তিনি চাইলেই এখানে সবরকম নিরাপত্তা পেতে পারেন। কিন্তু কেন যে দিল্লি গিয়ে ওভারটেক করে এটা করলেন, তা উনিই বলতে পারবেন।

বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়কে বারবার ব্যক্তিগত আক্রমণ করেছেন। এই বিষয়েও প্রশ্ন করা হয় রাজ্যপালকে। তিনি বলেন , যাঁরা এই ধরনের বক্তব্য দিয়েছেন তাঁদের প্রশ্ন করুন। আমায় প্রশ্ন করবেন না। নোবেলজয়ী কলকাতায় এলে তাঁকে রাজভবনে আমন্ত্রণ করে সন্মানিত করতে তিনি যে প্রবলভাবে ইচ্ছুক তা জানান রাজ্যপাল। তিনি বলেন, যখন নোবেলজয়ীর নাম ঘোষণা করা হলো আমিই বোধহয় প্রথম যিনি ওঁর মাকে ফোন করেছিলাম। তাঁর মা নির্মলা বন্দ্যোপাধ্যায় একজন প্রতিষ্ঠিত অধ্যাপিকা। আমি তাঁকে অনুরোধ করি, অভিজিৎকে রাজভবনে আমন্ত্রণ জানিয়ে সন্মানিত করতে চাই। যদি ওঁর সময় খুব কম থাকে তাহলে আমি আপনার বাসস্থানে আসতে দ্বিধা করব না ৷ কিন্তু অল্প সময়ের জন্য হলেও দেখা করবো।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*