জিজা ঘোষকে হেনস্থার অভিযোগ উঠলো কলকাতা বিমানবন্দরে ৷ রাষ্ট্রসংঘের সম্মেলনে যোগ দিতে রবিবার কলকাতা থেকে দিল্লি যাচ্ছিলেন তিনি ৷ সঙ্গে ছিলেন ডিজঅ্যাবিলিটি অ্যাক্টিভিটি ফোরামের সভাপতি কুহু দাস। অভিযোগ, বিমানবন্দরে হেনস্থা করা হয় তাঁকে। চেক-আপের জন্য নিরাপত্তারক্ষীরা তাঁকে ট্রাউজার খুলতে বলে। জিজা জানান, মঙ্গলবার কলকাতায় ফিরে অভিযোগ জানাবেন তিনি ৷
নির্বাচন কমিশনের অন্যতম মুখ জিজা ৷ বিশিষ্ট এই সমাজকর্মী বিশেষভাবে সক্ষম মানুষদের জন্য কাজ করছেন। সেরিব্রাল পালসিতে আক্রান্ত জিজা রবিবার কলকাতা থেকে দিল্লি যাচ্ছিলেন ৷ সেই সময় ঘটনাটি ঘটে ৷ জিজা বলেন, দুপুর ২টো ২০ মিনিটের ফ্লাইট ছিল আমাদের ৷ ১ টার আগে আমরা বিমানবন্দরে পৌঁছে যাই ৷ আমি একটি হুইল চেয়ারের অনুরোধ জানাই ৷ কিন্তু তা আসতে কার্যত একযুগ লেগে যায় ৷ তখন আমি বিমান সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করি ৷ সংস্থার তরফে একজন আমাকে জানান, আজ তাঁদের পর্যাপ্ত লোক নেই ৷ শেষমেশ আমি চেক-ইন কাউন্টার পৌঁছালে বলা হয়, যতক্ষণ পর্যন্ত আমার এসকর্ট না আসে আমি প্লেনে উঠতে পারব না ৷
জিজা আরও বলেন, সিকিওরিটি চেক আপের সময় আমাকে ট্রাউজার খুলতে বলা হয় ৷ প্রথমে নিজের কানকে বিশ্বাস করতে পারছিলাম না ৷ এটা খুব দুঃখজনক ও অপমানজনক ৷ আমি বহুবার বিমানযাত্রা করেছি, কিন্তু কেউ কখনও এভাবে বলেনি ৷ বিষয়টি জিজা ঘোষ ও তাঁর সহযাত্রীরা সোশাল মিডিয়ায় শেয়ার করেন ৷
ঘটনার পরে বিমান সংস্থার তরফে এক বিবৃতি জারি করে ক্ষমা চাওয়া হয় ৷ বলা হয়, এই দুর্ভাগ্যজনক ঘটনার জন্য আমরা ক্ষমাপ্রার্থী ৷ তাঁরা (জিজা ঘোষ) আগে থেকে হুইল চেয়ার বুক করেননি ৷ চেক-ইন কাউন্টারে গিয়ে তিনি হুইলচেয়ার দেওয়ার কথা বলেন ৷ কিন্তু ফ্লাইটের জন্য বরাদ্দ তিনটি হুইলচেয়ারই আগে থেকে বুক হয়ে গেছিল ৷ কর্মীরা জানায় চেয়ারের বন্দোবস্ত করতে একটু সময় লাগবে ৷ হুইল চেয়ার দিতে দেরি হওয়ার জন্য কর্তৃপক্ষ ক্ষমাপ্রার্থী ৷ সেইসময় যারা কর্তব্যরত ছিলেন তারাও ব্যক্তিগতভাবে ক্ষমা চেয়েছেন ৷ অসুবিধার জন্য দুঃখপ্রকাশ করেছেন ৷
এই প্রসঙ্গে একজন CISF অফিসার জানিয়েছেন, ঘটনার CCTV ফুটেজ চেক করা হয়েছে। তিনি বলেন, আমাদের অফিসার তাঁকে ক্যালিপার (পায়ে বাঁধা ধাতব অংশ বিশেষ) খুলে দেখাতে বলেন ৷ যাত্রীদের চেক-ইন করার সময় আমরা এটা করে থাকি ৷ তাঁকে অপমান করার কোনও ইচ্ছে আমাদের ছিল না ৷
Be the first to comment