ছাত্র ভোট নিয়ে একাধিক দাবিতে অবস্থানে বসলো প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংগঠন IC। মঙ্গলবার দুপুরে মিছিল করে ডিন অফ স্টুডেন্টসের কাছে গিয়ে একটি ডেপুটেশন দিয়ে আসেন তাঁরা। তারপর বিকেল সাড়ে চারটে নাগাদ অবস্থানে বসেন। তাঁদের বক্তব্য, কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে ৭৫ শতাংশ উপস্থিতি না থাকলে কেউ নমিনেশন জমা করতে পারবেন না। এক্ষেত্রে, অমানবিকভাবে কোনও মেডিকেল গ্রাউন্ড বা অন্য কোনও কারণকে গুরুত্ব দিতে চাইছেন না কর্তৃপক্ষ। এর বিরুদ্ধে ও অনলাইনের পাশাপাশি অফলাইন নমিনেশন দেওয়ার পদ্ধতি চালুর দাবিতেই তাঁরা অবস্থান করছেন।
প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংগঠন IC-এর তরফে জানানো হয়েছে, প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্বাচন প্রক্রিয়া নিয়ে ২১ অক্টোবর একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। তার আগে প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ একটি বৈঠক ডাকেন, যেখানে উপস্থিত ছিল ইনডিপেনডেন্টস কনসোলিডেশন সহ আরও কয়েকটি ছাত্রছাত্রীদের বডি। সেই বৈঠকে কর্তৃপক্ষ বেশ কিছু অগণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া চাপিয়ে দেন।
ছাত্র-ছাত্রীদের বিরোধিতার কারণে বেশ কিছু ক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষ পিছু হটলেও কয়েকটি দাবি কর্তৃপক্ষ মেনে নেয়নি। যার মধ্যে রয়েছে, মেডিকেল গ্রাউন্ড সহ কোনও ছাত্রছাত্রীর ৭৫ শতাংশ উপস্থিতি থাকলেও তিনি ছাত্র নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন না। দ্বিতীয়ত, কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে পরিষ্কার জানানো হয়েছে যে, নির্বাচনের নমিনেশন অনলাইন মাধ্যম ছাড়া অফলাইনে জমা করা যাবে না। যাদের পক্ষে অনলাইন নমিনেশন জমা করা সম্ভব না, তাঁদের যদি কোনও সমস্যা থাকে তা কর্তৃপক্ষ মানতে নারাজ। এই পরিস্থিতিতে ডিন অফ স্টুডেন্টসের অফিসে অনির্দিষ্টকালের জন্য অবস্থানের কর্মসূচি গ্রহণ করে IC-এর সদস্য তথা প্রেসিডেন্সির পড়ুয়াদের একাংশ।
IC-এর সদস্য সায়ন চক্রবর্তী বলেন, আমরা অবস্থানে বসে আছি। কারণ, নজিরবিহীনভাবে প্রেসিডেন্সিতে ছাত্র ভোট ঘোষণা করা হয়েছে কোনও ছাত্র সংগঠন বা মঞ্চের সঙ্গে আলোচনা না করেই। দেখা যাচ্ছে, নির্বাচনের জন্য যে গণতান্ত্রিক পরিবেশ দরকার, সেটার জায়গা না রেখে এক তরফা নানারকম সিদ্ধান্ত নিয়ে চলেছেন। এর মধ্যে সংযোজন যেটা তা হল, প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয় সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ৭৫ শতাংশ উপস্থিতি না হলে কেউ প্রেসিডেন্সির নির্বাচনে দাঁড়াতে পারবে না। এমনকি, মেডিকেল সার্টিফিকেট দিয়েও যদি কারও ৭৫ শতাংশ উপস্থিতি হয় তাহলেও তাঁরা দাঁড়াতে পারবে না। এই সিদ্ধান্তটা অনেক ছাত্রছাত্রীকেই নির্বাচনী প্রক্রিয়া থেকে বাদ দিয়ে দেবে। আমাদের দাবি, আমরা সব ছাত্রছাত্রীর জন্য নির্বাচন চাই। সব ছাত্রছাত্রীর অধিকার ইউনিয়ন। সেটা সুনিশ্চিত করতে আমরা এখানে নির্বাচন চাই। সেইজন্যেই আমরা মঙ্গলবার থেকে অবস্থানে বসেছি। দাবি না মানা পর্যন্ত এই অবস্থান বিক্ষোভ চলবে বলেই জানান তাঁরা।
Be the first to comment