পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তরফ থেকে চিঠি পাঠানো হলো কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে। জানা গিয়েছে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের নিরাপত্তায় কেন্দ্রীয় নিরাপত্তাবাহিনীকে দেওয়ার সিদ্ধান্তকে পুনর্বিবেচনা করে দেখার কথা লিখে চিঠি পাঠানো হয়েছে। রাজ্যপালের নিরাপত্তার দায়িত্ব কেন্দ্রীয় নিরাপত্তাবাহিনীকে দেওয়ার সিদ্ধান্তের আগে কেন রাজ্য সরকারের সঙ্গে এই বিষয়টি আলোচনা করা হয়নি? কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের কাছে মূলত তা জানতে চাওয়া হয়েছে চিঠিতে।
রাজ্যের তরফে এক আধিকারিক জানান, সাংবিধানিক প্রধান হিসেবে রাজ্যপালের নিরাপত্তার দায়িত্ব সবসময় রাজ্য সরকারের। তিনি পশ্চিমবঙ্গে আসার পর রাজ্য সরকারের তরফে তাঁকে জেড ক্যাটাগরির নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছিল। রাজ্যের তরফে এক আধিকারিক জানান, সাংবিধানিক প্রধান হিসেবে রাজ্যপালের নিরাপত্তার দায়িত্ব সবসময় রাজ্য সরকারের। তিনি পশ্চিমবঙ্গে আসার পর রাজ্য সরকারের তরফে তাঁকে জেড ক্যাটাগরির নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছিল। তারপর হঠাৎ করে সিআরপিএফকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
চিঠিতে এও জানানো হয় যে, রাজ্য সরকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে প্রস্তুত। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রককে তাঁদের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করে দেখার অনুরোধ করা হয়েছে। চলতি বছরের জুলাই মাসে জগদীপ ধনকড় পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল হিসাবে দায়িত্ব নেন। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে অক্টোবরের ১৫ তারিখ একটি নোটিশে এই সিদ্ধান্ত জানানো হয়। যা দেশের যেকোনও জায়গায় একইভাবে বহাল থাকবে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের নোটিশে এক সপ্তাহের বেশি কেটে গিয়েছে, রাজভবনে সিআরপিএফ বাহিনীর নিরাপত্তার ভার নেওয়ার সময় চলে এসেছে। ঠিক এই সময়তেই রাজ্য সরকারের তরফে এই প্রশ্ন করে চিঠি পাঠানো হলো।
সূত্রের খবর, যাদবপুর-কাণ্ডের পরেই রাজ্যপালের নিরাপত্তার বিষয়টি সামনে আসে। খোদ রাজভবন থেকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের কাছে চিঠি যায় যে, রাজ্যপাল নিরাপত্তার অভাব বোধ করছেন। এরপরই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের নির্দেশে রাজ্যপালের নিরাপত্তা বাড়ানোর কথা বলা হয়৷ সিআরপিএফকে বিষয়টি দেখতে বলা হয়৷ রাজ ভবনে গিয়েছিলেন সিআরপিএফ এর আধিকারিকরা ৷ এবার রাজভবনের অনুমতি পেলেই রাজ্যপালের জেড ক্যাটাগরির নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে কেন্দ্রীয় বাহিনী ৷
Be the first to comment