উত্তরবঙ্গ সফরের তৃতীয় দিনে প্রশাসনিক কাজের পর্যালোচনা করতে কার্শিয়াঙে আয়োজিত দার্জিলিং এবং কালিম্পঙের প্রশাসনিক বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। লোকসভা ভোটের পর প্রথম বার পাহাড় সফরে এসেই পর্যটন, সৌন্দর্যায়ন, বাণিজ্য, জন-পরিষেবা এবং পরিকাঠামো নিয়ে চুলচেরা পর্যালোচনা করেন তিনি।
জনপ্রতিনিধি, আমলা, বোর্ড-প্রধান, সকলকে সময়সীমা বেঁধে দিয়ে তিনি বলেছেন, তিন মাস পর তিনি ফের দার্জিলিং পাহাড়ে এসে বকেয়া কাজের হিসেব নেবেন। জানুয়ারি মাসের সেই ডেডলাইনের কথা মাথায় রেখে এখন থেকেই ঝাঁপাচ্ছেন আমলা-আধিকারিকরা। টয় ট্রেনের শহরকে সুন্দর এবং সমৃদ্ধ দেখতে মুখিয়ে আছেন মুখ্যমন্ত্রীও। রেলের এক আধিকারিকের সঙ্গে দেখা হয়ে যেতে মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে পরামর্শ দিয়েছেন কী করে ওই এলাকাটা আরও ভালো করে সাজানো যায় তার দিকে দেখতে।
কার্শিয়াংয়ের প্রশাসনিক বৈঠকে তিনি বলেন, ‘সব কুছ হোগা দার্জিলিং মে, লেকিন বার বার আগ জ্বালানে সে কুছ নহি হোগা।’ মুখ্যমন্ত্রীর আবেদন, ‘আপনারা আমাকে পছন্দ করেন না বলে না-হয় অন্য দলকে ভোট দিলেন, কিন্তু দয়া করে পাহাড়ে উন্নয়নের কাজটা হতে দিন। আপনাদের বারবার বুঝিয়েছিলাম। কিন্তু আমার কথা শুনলেন না। ভোট এলেই সেই একই স্লোগানে ফিরে যান।’
পাহাড়বাসীকে মুখ্যমন্ত্রীর বার্তা, ‘আপনারা ভালো থাকলে আমরা ভালো থাকি। আমি এখানে জমি জায়গা নিতে আসব না। এনআরসির নামে আগুন জ্বালাতেও আসব না। গোর্খা-বাঙালি-হিন্দিভাষী সবাই নাগরিক।’ মুখ্যমন্ত্রীর এখন একটাই আবেদন, পাহাড়ের মানুষ শান্তিতে থাক–এটাই অগ্রাধিকার। এ দিন বৈঠক শেষ করার আগে তিনি বলেছেন, ‘দার্জিলিং আগে থিতু হোক। শান্তি বজায় থাক। শান্তি থাকলেই উন্নয়ন হবে।’
Be the first to comment