হরিয়ানায় সরকার গড়ছে বিজেপি। তবে একা নয় ৷ জননায়ক জনতা পার্টির অংশীদার হয়েই হরিয়ানায় ক্ষমতা দখল করতে চলেছে বিজেপি ৷ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বিধানসভা নির্বাচনের ফলপ্রকাশের পর শুক্রবার এই কথা ঘোষণা করেন ৷ শনিবার চণ্ডীগড়ে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করে সরকার গঠনের দাবি জানাবেন তাঁরা। কংগ্রেসের আশায় জল ঢেলে কার্যত ক্ষমতা দখলে রাখলো বিজেপি ৷ রবিবারই মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিতে পারেন মনোহরলাল খট্টর ৷ দ্বিতীয়বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর মসনদে বসতে চলেছেন তিনি ৷ উপ-মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন দুষ্মন্ত ৷
এদিকে হরিয়ানায় ক্ষমতা দখল প্রসঙ্গে অমিত শাহ বলেন, মুখ্যমন্ত্রী হবেন বিজেপির সদস্য এবং উপ-মুখ্যমন্ত্রী হবেন জেজেপি থেকে ৷ মনোহর লাল খট্টর এবং দুষ্মন্ত চৌতালার উপস্থিতিতে এক সাংবাদিক সম্মেলনে এই ঘোষণা করেন অমিত শাহ। এদিকে, বিজেপির এই ঘোষণার পরই কংগ্রেসের ক্ষেত্রে আরও বেশি করে হতাশা গ্রাস করবে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ ৷ হরিয়ানায় নেতা বদলের কথা বলেছিলেন ভূপিন্দর সিং হুডা ৷
এদিকে রাহুল গান্ধী ঘনিষ্ঠ রাজ্য সভাপতি অশোক তনওয়ারও নিজেকে অপরিহার্যই মনে করেছিলেন ৷ অন্যদিকে রাহুলের হাত থেকে সভাপতি পদের ব্যাটনটা সোনিয়া গান্ধীর হাতে চলে যাওয়ার দলের প্রবীণদের সঙ্গে তরুণ প্রজন্মের ব্যক্তিত্বের সংঘাতের জায়গাটা আরও স্পষ্ট হয়ে ওঠে ৷ এর প্রভাব পড়েছে ৮টি আসনে ৷ প্রদেশ কংগ্রেসের নতুন প্রধান কুমারী শৈলজা। কিন্তু সেইভাবে প্রভাব ফেলতেও পারেননি তিনি ৷ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নির্বাচনের সময় হরিয়ানায় সাতটি সভা করেছেন, রাহুল গান্ধী করেছিলেন মাত্র দুটি।
এছাড়াও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নিজেই হরিয়ানায় সরকার গঠনের গুরুদায়িত্ব কাঁধে তুলে নেওয়ায় কংগ্রেসের ক্ষেত্রে আরও জটিল হয়ে পড়ে ৷ এদিকে, কয়েকজন নির্দল বিধায়ককে বিশেষ বিমানে দিল্লি নিয়ে আসা হয়েছিল। যাঁদের মধ্যে ছিলেন বিতর্কিত গোপাল গয়াল কান্ডা। কিন্তু কান্ডা নিজেকে কিংমেকার মনে করলেও শেষপর্যন্ত তিনি আর প্রাসঙ্গিক থাকলেন না ৷ মনে করা হচ্ছে, বিজেপি কান্ডার বিরুদ্ধে মামলার কারণেই চৌতালাকে বেছে নিয়েছে ৷
এই প্রসঙ্গে দু্ষ্মন্ত বলেন, হরিয়ানার জন্যই এই জোট সরকার প্রয়োজন ৷ আমি শাহজি ও নাড্ডাজিকে ধন্যবাদ জানাতে চাই ৷ যদিও দিনের শুরুতে চৌতালা বলেছিলেন, বিজেপি বা কংগ্রেস কোন দলই ‘অস্পৃশ্য’ নয় ৷ সবমিলে হরিয়ানার ক্ষমতা ধরে রাখল বিজেপিই ৷
Be the first to comment