আরব সাগরের উপকূলবর্তী এলাকায় আছড়ে পড়তে পারে ঘূর্ণিঝড় ‘কিয়ার’। গোয়া ও কর্নাটকের উপকূলীয় অঞ্চলে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে বলে আবহাওয়া অফিস সূত্রে খবর। আগামী ১২ থেকে ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে কিয়ার চরম আকার নিতে পারে বলে আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে। ইতিমধ্যেই রেড অ্যালার্ট জারি করেছে গোয়ার সরকার।
শুক্রবার রত্নগিরির ২০০ কিমি পশ্চিম ও মুম্বইয়ের দক্ষিণ-পশ্চিমে ঘূর্ণিঝড় কিয়ারের অবস্থান ছিল। আগামী চার দিনে কিয়ার নিজের স্থান পরিবর্তন করে ওমান উপকূলের উত্তর-পশ্চিমে প্রবেশ করতে পারে বলে খবর। বিপর্যয় মোকাবিলা দল ইতিমধ্যেই পরিস্থিতির সামলাতে তৎপর বলে জানিয়েছেন গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী প্রমোদ সাওয়ান্ত।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, বেশিরভাগ জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। তবে, কর্নাটক, গোয়া ও দক্ষিণ কোঙ্কনের কিছু জায়গায় ঝোড়ো হাওয়ার সঙ্গে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। প্রতি ঘণ্টায় ৯০-১০০ কিমি বেগে বইবে ঝোড়ো হাওয়া। শুক্রবার আরব সাগরের উপকূলীয় অঞ্চলে প্রতি ঘণ্টায় ১১০ কিমি বেগে ঘনীভূত হচ্ছিল ঘূর্ণিঝড় কিয়ার। আজ তা প্রতি ঘণ্টায় ১০০-১১০ কিমি থেকে শুরু করে ১৪৫ কিমি বেগে আছড়ে পড়তে পারে।
উত্তর মহারাষ্ট্র ও আরব সাগরের উত্তর-পূর্বে গুজরাতের উপকূলীয় অঞ্চলে প্রবল ঝোড়ো হাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে আবহাওয়া অফিস সূত্রে খবর। ঘূর্ণিঝড় কিয়ারের ফলে সমুদ্রের পরিস্থিতি খারাপ হতে পারে। তাই মহারাষ্ট্র, গোয়া, কর্নাটক ও দক্ষিণ গুজরাতের উপকূলীয় অঞ্চলে মৎস্যজীবীদের যেতে নিষেধ করা হয়েছে।
Be the first to comment