রাজ্যপাল সত্যেন্দ্র নারায়ণ আর্যের সঙ্গে দেখা করে হরিয়ানায় সরকার গঠনের দাবি জানানেল মনোহর লাল খট্টর। তাঁর সঙ্গেই ছিলেন জোটসঙ্গী জেজেপি নেতা দুষ্যন্ত চৌতালা। রবিবার দুপুর ২.১৫ নাগাদ রাজভবনেই হবে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান।
শনিবার চণ্ডীগড়ের ইউটি গেস্ট হাউসে বিজেপি ও জেজেপি বিধায়করা বৈঠকে বসেন। উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মনোহর লাল খট্টর, বিজেপি নেতা তথা কেন্দ্রীয়মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ। এর আগে খট্টরকেই হরিয়ানার বিজেপি পরিষদীয় দলের নেতা নির্বাচিত করেন দলীয় বিধায়করা। দ্বিতীয়বারের জন্য তিনিই মুখ্যমন্ত্রীর মসনদে বসতে চলেছেন। তবে, হরিয়ানার উপমুখ্যমন্ত্রী কে হবেন? তা এখনও চূড়ান্ত করতে পারেনি জেজেপি।
একক সংখ্যা গরিষ্ঠতা না মেলায় হরিয়ানায় দ্বিতীয়বার সরকার গঠন অনিশ্চিত হয়ে পড়েছিল গেরিুয়া শিবিরের। উল্টোদিকে, ক্ষমতা দখলের জন্য আসরে নামে কংগ্রেসও। এই অবস্থায় ফের বাজিমাত করেন অমিত শাহ। দলের সর্বভারতীয় সভাপতি দুষ্যন্ত চৌতালাকে পাশে বসিয়ে শুক্রবার রাতেই জানিয়ে দেন, হরিয়ানায় জেজেপি-বিজেপি জোটই সরকার গঠন করবে।
অমিত শাহ বলেন, হরিয়ানার জনতার জনাদেশের সম্মান করি। সেই জনাদেশ মাথায় নিয়ে দুই দল সিদ্ধান্ত নিয়েছে, বিজেপি ও জেজেপি একসঙ্গে সরকার চালাবে। মুখ্যমন্ত্রী হবেন ভারতীয় জনতা পার্টির। উপমুখ্যমন্ত্রী হবেন জেজেপি-র। নির্দল বিধায়করাও সমর্থন দিয়েছেন। জানানো হয় মুখ্যমন্ত্রী পদ থাকবে বিজেপি ও জেজেপি থেকে হবেন উপমুখ্যমন্ত্রী।
৯০ আসনের হরিয়ানা বিধানসভায় সরকার গড়তে ম্যাজিক ফিগার ৪৬ আসন। কিন্তু ৪০ আসনেই থমকে যায় বিজেপি। ত্রিশঙ্কু বিধানসভায় সরকার গড়ার সম্ভাবনা ছিল কংগ্রেসেরও। কিন্তু নির্দল ৭ বিধায়কের সমর্থন আগেই পায় গেরুয়া শিবির। কিন্তু, বিতর্ক বাধে নির্দল বিধায়ক কান্ডার সমর্থন ঘিরে। তাঁকে নিয়ে আপত্তি তোলেন বিজেপি নেত্রী উমা ভারতী। দুই আত্মহত্যার প্রোরচনা যাঁর বিরুদ্ধে রয়েছে তাঁর সমর্থন নিয়ে কেন বিজেপি সরকার গঠন করবে? প্রশ্ন তোলে বিরোধীরাও।
প্রবল বিরোধীতার মাঝেই বিজেপির তরফে হরিয়ানার ভারপ্রাপ্ত নেতা অনিল জৈন বলেন, বিজেপি পরিষদীয় দলের বৈঠকের পরই নিশ্চিতভাবে বলা যাবে দল নির্দল বিধায়ক কান্ডার সমর্থন নেবে কিনা। নির্দলদের নিয়ে ম্যাজিক ফিগার মিললেও সেই সরকারের স্থায়ীত্ব নিয়ে সন্দিহান ছিলে মোদী-শাহ জুটি। তাই স্থায়ী সরকার গঠনের লক্ষ্যেই তড়িঘড়ি জেজেপি প্রধান দুষ্যন্ত চৌচালার সঙ্গে বৈঠক করেন অমিত শাহ। নিশ্চিত করেন তাদের সমর্থন।
Be the first to comment