দ্বিতীয়বারের জন্য হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিলেন মনোহর লাল খট্টর। রবিবার রাজভবনে খট্টরকে শপথ বাক্য পাঠ করান রাজ্যপাল সত্যেন্দ্র আর্য। উপমুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নেন জেজপি প্রধান দুষ্যন্ত চৌতালা। বিধানসভা নির্বাচনে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি গেরুয়া শিবির। ম্যাজিক আসন থেকে ৬টি কম পায় তারা। কিন্তু, হরিয়ানার দখল ছাড়তে নারাজ ছিল পদ্ম নেতৃত্ব। অবশেষে জেজেপির হাত ধরে ফের হরিয়ানার শাসন নিজেদের দখলে রাখল বিজেপি।
শপথের পর রবিবার বিকেলে প্রথম ক্যাবিনেট বৈঠক করেন খট্টর। এবার প্রত্যাশার থেকেও এবার ভাল ফল করেছে কংগ্রেস। বিজেপিকে সঙ্গে নিয়ে সরকার গঠনের জোর চেষ্টা চালিয়েছেলেন হরিয়ানার হাত শিবিরের মুখ ভূপিন্দর সিং হুডা। কিন্তু, তা কার্যকরী হয়নি। দুষ্যন্ত চৌতালা বিজেপিকেই সমর্থনের ঘোষণা করেন। মসনদ দখলের লড়াইতে হারলেও রবিবার মনোহর লাল খট্টরের শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন হুডা। এসেছিলেন বিজেপির কার্যকরী সভাপতি জেপি নাড্ডা, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আর এল কাটারিয়া, কে পি গুর্জর, ত্রিবেন্দ্র সিং রাওয়াত, হিমাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী জয়রাম ঠাকুর। এছাড়া অনুষ্ঠানে যোগ দেন এনডিএ জোট শরির শিরোমণি আকালি দলের নেতা প্রকাশ ও সুখবীর সিং বাদল।
রাজ্যের নতুন সরকারকে শুভ কামনা জানালেও বিজেপি-জেজেপি জোটের স্থায়িত্ব নিয়ে প্রশ্ন তোলেন কংগ্রেস নেতা ভূপিন্দর সিং হুডা। তিনি বলেন, এই দুই দলের মধ্যে পরস্পর বিরোধিতা রয়েছে। জেজেপি বিজেপির সমালোচনা করে ভোট পেল। কিন্তু, সমর্থন করল তাদেরই। জেজেপি জনাদেশের বিরোধী কাজ করল। এটা সুবিধাবাদের জোট।
একক সংখ্যা গরিষ্ঠতা না মেলায় হরিয়ানায় দ্বিতীয়বার সরকার গঠন অনিশ্চিত হয়ে পড়েছিল গেরুয়া শিবিরের। উল্টোদিকে, ক্ষমতা দখলের জন্য আসরে নামে কংগ্রেসও। এই অবস্থায় ফের বাজিমাত পদ্ম শিবিরের ‘কৌটিল্য’ অমিত শাহের। দলের সর্বভারতীয় সভাপতি দুষ্যন্ত চৌতালাকে পাশে বসিয়ে শুক্রবার রাতেই ডিল ফাইনাল করেন তিনি। ঘোষণা করেন, হরিয়ানায় জেজেপি-বিজেপি জোটই সরকার গঠন করবে।
Be the first to comment