দিদির বাড়িতে ভাই ফোঁটা দেওয়ার পরম্পরা নতুন নয়। গত কয়েক দশক ধরে চলছে। নিজের ভাইদের ছাড়াও দলের মধ্যে ভাইয়ের মতো সহকর্মীদের ফোঁটা দেন দিদি। কখন কোন নেতার সঙ্গে দিদির দূরত্ব, কখন ঘনিষ্ঠতা সব বোঝা যায় এই দিনে। এ বারও যেমন দিদির থেকে ফোঁটা নিয়েছেন অরূপ বিশ্বাস, ফিরহাদ হাকিম, জাভেদ খান, পার্থ চট্টোপাধ্যায়, সুব্রত বক্সী, সমীর চক্রবর্তী, সাধন পান্ডে প্রমুখ।
বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়কে সঙ্গে নিয়ে দিদির বাড়িতে শোভন চট্টোপাধ্যায়ের ভাইফোঁটা নিতে যাওয়াটা মহানাটকীয় ঠিকই। তবে ভাতৃদ্বিতীয়ায় এ বার কালীঘাটে আরও বড় পরিবর্তন ঘটে গেল। এবারই প্রথম নন্দীগ্রামের বিধায়ক তথা পরিবহণ, সেচ ও জল সম্পদ উন্নয়নমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীকে ভাইফোঁটা দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
ভাইদের আপ্যায়নের জন্য একেবারে শুরুতে ছিল প্লেটে সাজানো নানা স্বাদের মিষ্টি। সকলের জন্যই রঙিন পাঞ্জাবি। শোনা যায়, ফি বছর দিদি নিজে রঙ পছন্দ করে করে কেনেন। দুপুরের খাবারটা অবশ্য ভাইদের প্যাকেটে করেই দিয়ে দেন। এবারেও তাই হয়েছে। কী ছিল সেই প্যাকেটে? এক নেতা জানালেন এবারের প্যাকেটে ছিল হলুদ পোলাও, ভেটকি মাছের ফিস ফ্রাই, গলদা চিংড়ি, রুই মাছের কালিয়া, খাসির মাংস। এছাড়াও ঝাল মেনুর শেষে টক-মিষ্টি চাটনি।
Be the first to comment