কাশ্মীরে ৬ বাঙালি শ্রমিকের হত্যার ঘটনায় বিতর্কিত মন্তব্য করে চাপে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ ৷ খড়গপুরে বুধবার তিনি বলেন কাশ্মীরে কোনও বাঙালি মারা যায়নি। যাঁরা মারা গিয়েছেন তাঁরা শ্রমিক। এর আগে আরও অনেক শ্রমিককে জঙ্গিরা হত্যা করেছে। তবে কাশ্মীরে অশান্তির জন্য পাকিস্তানকে দায়ী করেছেন তিনি। পাকিস্তানের মদতে কাশ্মীরে উগ্রপন্থা চলেছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।
দিলীপ ঘোষের মতে, এর আগেও অনেক শ্রমিক মারা গিয়েছেন ৷ এখনও যে শেলিং চলছে পাকিস্তান থেকে, ওরা আমাদের উত্তেজিত করার চেষ্টা করছে ৷ যাতে ‘পিস প্রসেস’ নষ্ট হয়। আর ৩৭০ ধারা বাতিল করে সরকার যে সফল হয়েছে, সেটাকে অন্যদিকে ঘুরিয়ে দেওয়া যায় ৷ আমাদের এখানের বিরোধীরা সেটাকে ইস্যু করছে ৷ এই ধরণের ঘটনা ছোটখাটো ঘটছে এখনও ৷ আমার মনে হয়, সব বিষয়গুলি তাড়াতাড়ি ঠাণ্ডা হয়ে যাবে ৷
এদিকে উপত্যকায় রাজ্যের শ্রমিকদের নৃশংস হত্যায়, কাশ্মীরে কেন্দ্রের ভূমিকা নিয়ে ফের প্রশ্ন তুললেন মমতা। দাবি তুললেন প্রকৃত তদন্তেরও। ৩৭০ ধারা খারিজের পর এখনও গৃহবন্দি কাশ্মীরের অনেক রাজনীতিবিদ। যারমধ্যে রয়েছেন প্রাক্তন তিন মুখ্যমন্ত্রীও। রাহুল গান্ধী সহ বিরোধীদেরও উপত্যকায় পা রাখতে দিচ্ছে না মোদী সরকার। সবমিলিয়ে দেশের মধ্যে থেকেও কার্যত বিচ্ছিন্ন দ্বীপে পরিণত হয়েছে কাশ্মীর। মোদী-শাহ-ডোভালদের গ্রিন সিগন্যাল ছাড়া সেখানে পা ফেলাই কার্যত অসম্ভব। তাই কুলগামে বাঙালি শ্রমিকদের মৃত্যুর জন্য, মোদি-শাহদের কাশ্মীর-নীতিকেই কাঠগড়ায় তুলছেন বিরোধীরা।
মঙ্গলবার রাত ১২:৫৬ মিনিটে প্রথম ট্যুইটে শোকপ্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার সকালেও একের পর এক ট্যুইটে হামলার নিন্দা ও তদন্তের দাবি করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি লেখেন, কাশ্মীরে ৫ নিরীহ শ্রমিকের মৃত্যু দুর্ভাগ্যজনক। তাঁদের পরিকল্পনা করে নৃশংসভাবে খুন করা হয়েছে। আমরা দুঃখিত। এখন কাশ্মীরে কোনও রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডই হচ্ছে না। আইনশৃঙ্খলা রক্ষার সব দায় দায়িত্ব কেন্দ্রের হাতে। তাই সত্যি সামনে আনতে কঠোর তদন্তের দাবি জানাচ্ছি। ঘটনার তদন্তের দেখভালের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে এডিজি দক্ষিণবঙ্গ সঞ্জয় সিং-কে ৷
মমতার নির্দেশে বুধবার সকালেই সাগরদিঘিতে নিহত শ্রমিকদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রীরা। ট্যুইটে তাঁদের পাশে থাকার আশ্বাসও দেন মুখ্যমন্ত্রী।
Be the first to comment