একে অর্থনীতির বেহাল দশা তার উপর মোদী সরকারের দুশ্চিন্তা বাড়াল পণ্য পরিষেবা কর (জিএসিটি) ৷ কারণ অক্টোবর মাসে জিএসটি আদায়ের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৯৫,৩৮০ কোটি টাকা। ফলে প্রতি মাসে এক লক্ষ টাকার লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হল না৷ যা দেখে বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, অর্থনীতির অবস্থা যে ভাল নয় সেটার প্রতিফলন ঘটছে এই কর আদায়ের ক্ষেত্রে ৷
গত বছরের অক্টোবরে মিলে ছিল ১,০০,৭১০ কোটি টাকা পণ্য পরিষেবা কর থেকে৷ অর্থাৎ তুলনায় এই অক্টোবরে অনেকটাই কম। তবে এই অক্টোবরে যা পাওয়া গিয়েছে আগের মাস সেপ্টেম্বরের (৯১,৯১৬ কোটি টাকা) চেয়ে তা বেশি। তাছাড়া কেন্দ্রের ঠিক করা টানা তিন মাস ধরে ১ লক্ষ কোটির লক্ষ্য ছুঁতে পারল না জিএসটি আদায়।
সরকারি পরিসংখ্যান অনুসারে, গত মাসে কেন্দ্রীয় জিএসটি বাবদ আদায় হয়েছে ১৭,৫৮২ কোটি টাকা।অন্যদিকে রাজ্য জিএসটি আদায় হয়েছে ২৩,৬৭৪ কোটি টাকা৷ তাছাড়া সম্মিলিত জিএসটি সংগ্রহ ৪৬,৫১৭ কোটি টাকা। এছাড়া সেস সংগ্রহ হয়েছে ৭,৬০৭ কোটি টাকা। অক্টোবর মাসটা উৎসবের মরসুম হলেও এবারে যে গোটা দেশেই বিক্রিবাটা তেমন বাড়েনি সেটাই প্রমাণ মিলেছে জিএসটি আদায় থেকে বলে অনেকের অভিমত। সে প্রসঙ্গে তাঁদের বক্তব্য, পরিকাঠামো-সহ নানা পরিসংখ্যানে ইঙ্গিত দিয়েছে অর্থনীতি ঝিমিয়ে পড়ার ছবিটা। বিশেষত বৃদ্ধির হার কমা, শিল্পে চাহিদা ধাক্কা খাওয়ার পাশাপাশি বেকারত্বের পরিস্থিতি জটিল থেকে জটিলওতর হচ্ছে৷ অর্থনৈতিক গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর মনিটরিং ইন্ডিয়ান ইকোনমি(সিএমআইই) রিপোর্ট জানিয়েছে বেকারত্ম দাড়িয়েছে তিন বছরে সর্বোচ্চ৷ অর্থাৎ কাজের বাজার ক্রমশই সংকুচিত হয়েছে।
তবে জিএসটি সংগ্রহ কমা প্রসঙ্গে ব্যবসায়ীদের একাংশের দাবি, জিএসটি কম আদায় হয়েছে মানেই অর্থনীতির খারাপ দশা এমন ধারণা ঠিক নয়। কারণ হিসেবে যুক্তি দেখিয়েছে, উৎসবের মরসুমে বিক্রির অনেকটাই এখন অনলাইনে নেটের মাধ্যমে হয়েছে। আর এই সব ই-কমার্স সংস্থাগুলি নিয়ম ভেঙে কর ফাঁকিতে দেয় বলে অভিযোগ তুলেছেন৷তারই ফলে রাজস্বের ক্ষতি হচ্ছে বলে তাদের অভিমত।
Be the first to comment