দিল্লিতে দূষণে জেরবার সাধারণ মানুষ। এর মধ্যেই রবিবার রাতে পশ্চিম দিল্লির পিরাগাছিতে রেক্সিন কাপড়ের কারখানায় ভয়াবহ আগুন লাগল। দমকলকর্মীরা তৎক্ষণাৎ ঘটনাস্থলে পৌঁছলেও ভয়াবহ আগুন সামলাতে রীতিমত বেগ পেতে হয় তাঁদের। আগুন নেভাতে গিয়ে সামান্য জখম হয়েছেন দুই দমকলকর্মী। রাতে এই ভয়াবহ আগুনে প্রবল আতঙ্ক ছড়ায় সাধারণ মানুষের মধ্যে।
রবিবার রাতে পশ্চিম দিল্লির পিরাগাছির ওই রেক্সিন কারখানার পিছনের দিকে প্রথম আগুন লাগে। প্রচুর পরিমাণে দাহ্য বস্তু মজুত থাকায় মুহূর্তেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে অন্যত্র। প্রায় গোটা কারখানাই চলে যায় আগুনের লেলিহান শিখার গ্রাসে। দাউ দাউ করে জ্বলতে থাকে সম্পূর্ণ কারখানাটি।
এই প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে দিল্লির দমকলের আধিকারিক অতুল গর্গ জানান, আমরা রাত সাড়ে বারোটা নাগাদ প্রথম আগুন লাগার খবর পাই। ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুনের ভয়াবহতা দেখে আমরা ২৫টি ইঞ্জিন পাঠাই। সঠিক সময়ে দমকল চলে আসায় আগুন আশেপাশে ছড়িয়ে পড়লেও তা বিরাট আকার ধারন করতে পারেনি। কিন্তু, লেলিহান আগুনে সম্পূর্ণ ভস্মীভূত হয়ে গিয়েছে গোটা কারখানা।
দমকল সূত্রে খবর, রবিবার রাত থেকে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় আগুন নেভানোর কাজ শুরু হয়। সোমবার সকাল ৭টা নাগাদ আগুন নিয়ন্ত্রণে এলেও কারখানাটি ঠাণ্ডা করার কাজ এখনও চলছে। আগুন লেগে পুরো কারখানাটিই ভয়ঙ্করভাবে দুর্বল হয়ে পড়েছে। ফলে, যে কোনও মুহূর্তে গোটা কারখানাই ভেঙে পড়ার আশঙ্কা করছে পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে আগুন লাগার কারণ এখনও অজানা। তবে শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লাগেই বলেই অনুমান পুলিশের। কারখানায় সহজ দাহ্য বস্তু মজুত থাকায় খুব তাড়াতাড়ি আগুন ছড়িয়ে পড়ে। যদিও এখনও পর্যন্ত ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যায়নি। তবে এই বিষয়ে অতুল আরও জানান, পাশাপাশি থাকা বেশ কয়েকটি বাড়িতেও আগুন খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। রেক্সিন কারখানার পিছনের দিকে আগুন নেভাতে গিয়েই কারখানার একাংশ ভেঙে পড়ে। তাতে আমাদের দুই কর্মী জখম হয়েছেন।তবে তাঁদের আঘাত গুরুতর নয়। এছাড়া আমাদের তেমন কোনও সমস্যার মুখে পড়তে হয়নি। আগুন সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে এলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ স্পষ্ট হবে বলে জানায় দমকল।
Be the first to comment