মৌসুমী রায় সরকার (বিভাগীয় প্রধান),
‘রোজদিন.ইন’ এর দরবারে প্রতি সপ্তাহের ঠিক শনিবার আমি আমার রান্নাঘর থেকে আমার বন্ধুদের জন্য একটা রেসিপি শেয়ার করি। অগাস্ট মাসে আমার নির্বাচন করা ইলিশ সেগমেন্ট দারুন সাড়া পেয়েছে। আর সেইজন্য গোটা অক্টোবর এবং নভেম্বর মাস জুড়েও আমি আমার বন্ধুদের জন্য আবারও ইলিশ সেগমেন্টই রাখার পরিকল্পনা করেছি। ইলিশ-এর বিভিন্ন রেসিপি আমি বিগত মাস ধরে এক এক সপ্তাহে শেয়ার করেছি। আমি যখন প্রথম ভেবেছিলাম যে আমার বন্ধুদের জন্য সেগমেন্ট হিসাবে ইলিশ রাখবো তখন ভাবতেও পারিনি যে এই সেগমেন্ট এতোটাই জনপ্রিয় হয়ে উঠবে। আমার বন্ধুদের এই রেসিপিগুলো ভালোলাগা এবং সর্বোপরি আমাকে এতোটা ভালোবাসার জন্য বন্ধুত্বের খাতিরে আমি এই ইলিশ সেগমেন্টটা গোটা নভেম্বর মাস জুড়েও রাখার পরিকল্পনা করেছি এবং গত সেপ্টেম্বর মাস থেকে আমার সাথে সাথে আমার রন্ধন শিল্পী তথা রন্ধন উৎসাহী বন্ধুরাও তাদের ইলিশ রেসিপি শেয়ার করছেন।
পরবর্তী কালেও আমি যে যে সেগমেন্ট নিয়ে রেসিপি শেয়ার করার পরিকল্পনা করবো। তাতেও সেই সব রন্ধন উৎসাহী বন্ধুরা তাঁদের অভিনব রেসিপিগুলো আমাদের ‘রোজদিন.ইন’ এর দরবারে তুলে ধরতে পারবেন।
আজকে এই সেগমেন্টের নতুন রূপে পথ চলায় আমার যে রন্ধন উৎসাহী বন্ধু আমার রান্নাঘরে তাঁর একান্ত নিজস্ব একটি অভিনব ইলিশের রেসিপি শেয়ার করছেন, তাঁর নাম রূপালী রায় চৌধুরী। আজকে তিনি ‘রোজদিন.ইন’ এর দরবারে রাখছেন তাঁর অভিনব একটা ইলিশ মাছের রেসিপি “বনেদি ইলিশ”।
রুপালী রায় চৌধুরী
আজকের রেসিপি- “বনেদি ইলিশ”
উপকরণ: মাছ- ৩ টুকরো, কচুর লতি- ৩৫০ গ্রাম, পোস্ত বাটা- ৪ চামচ, নারকেলের ঘন দুধ- ১ কাপ, কাঁচা লঙ্কা বাটা- ১ চামচ, ফোড়নের জন্য চেরা কাঁচা লঙ্কা- ৩/৪ টে, কালো জিরে- ১/২ চামচ, হলুদ গুঁড়ো, নুন ও চিনি- স্বাদ মতো, সরষের তেল- পরিমাণ মতো।
প্রণালী: মাছগুলো নুন, হলুদ মাখিয়ে ভেজে রাখতে হবে। অন্যদিকে জল গরম করে কচুর লতিগুলো টুকরো করে ২ মিনিট ব্লান্চ করে তুলে ঠাণ্ডা জলে ডুবিয়ে রাখতে হবে। এবার কড়াইতে মাছ ভাজার তেল গরম করে তাতে কালো জিরে ও লঙ্কা ফোড়ন দিয়ে হলুদ ও লঙ্কা বাটা জলে গুলে দিতে হবে। সাথে কচুর লতিগুলো দিয়ে ঢাকা দেব।
৫ মিনিট পর ঢাকনা খুলে নুন ও পোস্ত বাটা দিয়ে ভাজা ভাজা করে নারকেলের দুধ ও সামান্য জল দিয়ে মাছগুলো দেব। মাছ সেদ্ধ হলে উপর থেকে সামান্য কাঁচা তেল ছড়িয়ে নামিয়ে নিতে হবে।
Be the first to comment