রাজ্যে ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’-এর দাপটে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৭। যার মধ্যে শুধুমাত্র উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাটে মৃত্যু হয়েছে ৫ জনের। গতকাল রাতে বসিরহাটের শশীনা গ্রামে গাছ ভেঙে পড়ে। চাপা পড়ে মৃত্যু হয় রেবা বিশ্বাস নামে বছর সাতচল্লিশের এক মহিলার। হিঙ্গলগঞ্জের গোবিন্দকাটি অঞ্চলের মালেকানঘুমটি গ্রামেও ঘটেছে একই ঘটনা।
মাটির বাড়ি ধসে মৃত্যু হয় বছর পঁয়ষট্টির সুচিত্রা মণ্ডলের। গাছ উপড়ে মৃত্যু হয় হিঙ্গলগঞ্জের ছোট সাহেবখালির বাসিন্দা ৬০ বছরের প্রকৃতি মৃধারও। বসিরহাটের মধ্যম পশ্চিমপাড়া গ্রামে ঝড়ের তাণ্ডবে হেলে পড়ে বিদ্যুতের খুঁটি। আজ সকালে বাড়ি থেকে বের হওয়ার সময়, বিদ্যুতের খুঁটিটি তাঁর উপর পড়ায়, মৃত্যু হয় বছর ষাটের মইদুল গাজির।
এছাড়াও সন্দেশখালির কর্ণাখালি গ্রামে গাছ উপড়ে মৃত্যু হয়েছে ৫৬ বছরের বিদেশি সর্দারের। অন্যদিকে দক্ষিণ ২৪ পরগনার গোসাবায় ঝড়ের সময় পাশের বাড়িতে আশ্রয় নিতে যাওয়ার সময় পড়ে গিয়ে মৃত্যু হয় কমলা মণ্ডল নামে এক মহিলার। পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রামের ভেটুরিয়ায় বাড়ির উপর গাছ ভেঙে পড়ে এক মহিলার মৃত্যু হয়েছে।
কড়া তৎপরতায় উদ্ধারকার্য শুরু করেছে প্রশাসন। ২ লক্ষ ৭৩ হাজার মানুষ আক্রান্ত
১ লক্ষ ৭৮ মানুষ ক্যাম্প এ রাখা হয়েছে
৯ জায়গায় ক্যাম্প চলছে। ৪৭১ টা ক্যাম্প, ৩৭৩ টা গ্রুপ কিচেন, ৪৬ হাজার ত্রিপল দেওয়া হয়েছে, ২৬ হাজার বাড়ি আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত, ২৪৭৩ টা বাড়ি পুরো ক্ষতিগ্রস্ত, ১০ টা টিম কাজ করছে, ৬ টা এনডিআর এফ
৪ টা এস টি আর এফ কাজ করছে, ১৫ হাজার সিভিক ভলান্টিয়ার কাজ করছে। এই তথ্য দিয়েছেন বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের মন্ত্রী জাভেদ খান।
Be the first to comment