ঘূর্ণিঝড় বুলবুলে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনে রাজ্যে এলো কেন্দ্রীয় পরিদর্শক দল। বৃহস্পতিবার রাতে ৯ সদস্যের ওই পরিদর্শক দলের সদস্যরা কলকাতায় পৌঁছান। শুক্রবার তাঁরা উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা ঘুরে দেখবেন। পর্যালোচনা করবেন ক্ষয়ক্ষতির।
উল্লেখ্য, ৯ নভেম্বর সন্ধ্যার কিছু পরেই সুন্দরবন এলাকায় প্রবেশ করে অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় বুলবুল ৷ আছড়ে পড়ে সাগরদ্বীপে। ঝড়ের দাপটে বিপর্যস্ত হয় উপকূলবর্তী অঞ্চলগুলি ৷ ১৩০ কিমি বেগে চলে ঝড়ের তাণ্ডব ৷ ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের ক্ষয়ক্ষতি সংক্রান্ত বিস্তারিত রিপোর্ট বৃহস্পতিবারই মুখ্যমন্ত্রীর কাছে জমা পড়েছে। রাজ্যের মুখ্যসচিবের নেতৃত্বে স্বরাষ্ট্র সচিব সহ পঞ্চায়েত, সেচ, PWD, কৃষি, কৃষি বিপণন, স্বাস্থ্য এবং বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের প্রিন্সিপাল সেক্রেটারিদের নিয়ে গঠিত টাস্ক ফোর্স সেই রিপোর্ট জমা দিয়েছে।
রিপোর্টে দেখা গিয়েছে, ৩ লাখের বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ৯ হাজারের বেশি গাছ ও ৯৫০ টি মোবাইল টাওয়ার ভেঙে গেছে। বসিরহাটে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, ১৫ লাখ হেক্টর জমির ফসল নষ্ট হয়ে গেছে।
শুক্রবার নবান্নে মুখ্যসচিব রাজীব সিনহার সঙ্গে বৈঠক করবেন কেন্দ্রীয় পরিদর্শক দলের সদস্যরা। ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের ক্ষয়ক্ষতি সংক্রান্ত বিস্তারিত রিপোর্ট কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদের হাতে তুলে দেওয়া হতে পারে বলে নবান্ন সূত্রে খবর। তবে তার আগে জেলার প্রশাসনিক কর্তাদের সঙ্গে কথা বলবেন তাঁরা। ঘূর্ণিঝড় বুলবুলে মোট ক্ষতির পরিমাণ ৫০ হাজার কোটি টাকা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। কেন্দ্রীয় সরকার ইতিমধ্যেই ক্ষতিপূরণে রাজ্যের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীও জানিয়েছেন, কেন্দ্রের সাহায্যের আশ্বাসে তিনি ভরসা রাখছেন।
Be the first to comment