প্রদেশ কংগ্রেস ভবনে রাহুলের পোস্টার ছিঁড়লো বিজেপি কর্মীরা

Spread the love

রাহুল গান্ধীকে জনতার সামনে ক্ষমা চাওয়ার দাবি নিয়ে শনিবার সারা দেশ জুড়ে বিক্ষোভের ডাক দিয়েছিল কংগ্রেস। কলকাতায় সেই বিক্ষোভ দেখাতে গিয়ে খানিকটা সীমা ছাড়িয়ে গেলেন বিজেপির যুব মোর্চার কর্মীরা। প্রদেশ কংগ্রেস ভবনের সামনে মিছিল নিয়ে যাওয়ার পর, মূল গেটে উঠে চলে ধাক্কাধাক্কি। ছিড়ে দেওয়া হয় রাহুল গান্ধীর ছবি লাগানো পোস্টার, ব্যানার। তারপর প্রদেশ কংগ্রেস ভবনের সামনের রাস্তায় বসে চলে ‘রাহুল গান্ধী হায় হায়’ স্লোগান। পোড়ানো হয় প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতির কুশপুতুলও।

গোটা ঘটনার নিন্দা করেছেন কংগ্রেস নেতারা। তাঁদের কথায়, বিজেপি আজকে যে কাজ করেছে আসলে এটাই ওদের সংস্কৃতি। ওরা আদালতেরও ঊর্দ্ধে উঠতে চায়। রাফাল নিয়ে সুপ্রিম কোর্টকে জড়িয়ে রাহুল গান্ধী যে মন্তব্য করেছিলেন তা নিয়ে মামলা চলছিল শীর্ষ আদালতে। সেই মামলায় ইতি টেনে বৃহস্পতিবার দেশের শীর্ষ আদালত জানিয়ে দিয়েছে, রাহুল গান্ধীকে কথা বলার সময়ে আরও সতর্ক হতে হবে।

এরপরই প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ শানায় বিজেপি। বর্ষীয়ান বিজেপি নেতা তথা কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ সাংবাদিক সম্মেলন করে বলেন, “রাহুল গান্ধীর উচিত সারা দেশের মানুষের সামনে ক্ষমা চাওয়া।” এরপরই শুক্রবার সর্বভারতীয় বিজেপির তরফে ঘোষণা করা হয়, শনিবার দেশ জুড়ে বিক্ষোভ হবে।

ভারতের উত্তর থেকে দক্ষিণ—যেখানে তিনি লোকসভা ভোটের প্রচার করতে গিয়েছেন, বক্তৃতার শুরুতে, মাঝে, শেষে ‘চৌকিদার চোর হ্যায়’ বলা কে এক রকম অভ্যেসে পরিণত করে ফেলেছিলেন। কংগ্রেসের অভিযোগ ছিল, রাফাল যুদ্ধবিমান কেনার সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বন্ধু তথা শিল্পপতি অনিল আম্বানীকে বিশেষ সুবিধা পাইয়ে দেওয়া হয়েছে। মোদী নিজেকে জনগণের চৌকিদার বলতেন।

রাহুল একসময় বলেন, সুপ্রিম কোর্টও মেনে নিয়েছে, চৌকিদার চোর হ্যায়। এই মন্তব্যের পর রাহুলের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেছিলেন বিজেপি নেত্রী মীনাক্ষী লেখি। সেই মামলা বৃহস্পতিবার বন্ধ করে সুপ্রিম কোর্ট। তবে একইসঙ্গে বিচারপতিরা রাহুলকে সতর্ক করে বলেছেন, ভবিষ্যতে তিনি যেন আরও সতর্ক হয়ে মন্তব্য করেন।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*