গত সোমবার থেকে অবস্থান শুরু করেছিলো রাজ্যের পার্শ্বশিক্ষকরা। শুক্রবার থেকে শুরু করেছেন অনশন। আর রবিবার তাঁদের অবস্থান সপ্তম দিনে পড়ল ৷ অনশনের আজ তৃতীয় দিন। এর আগে কোনও শিক্ষক-শিক্ষিকা স্কুলে অনুপস্থিত থেকে আন্দোলনে সামিল হলে তাঁদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। কিন্তু এবার পার্শ্ব শিক্ষকদের অনশন-আন্দোলন তুলে নিতে বললেন তিনি।
পার্থবাবু বলেন, ওঁদের শুভবুদ্ধির উদয় হোক। ওঁরা যা করছে, তুলে নিক। ওঁরা জানেন রাজ্য সরকার যথেষ্ট সহানুভূতিশীল। বারবার রাস্তায় নেমে ছাত্রছাত্রীদের স্বার্থকে বিঘ্নিত করে যেটা করছে, সেটা ঠিক হচ্ছে না। না, ওঁদের স্বাস্থ্যর পক্ষে ভালো হচ্ছে, না সমাজের পক্ষে ভালো।
হাইকোর্টের নির্দেশে সোমবার ভাতা প্রথার অবসান ঘটিয়ে বেতন কাঠামো চালু করা এবং স্থায়ীকরণের দাবিতে কয়েক হাজার পার্শ্বশিক্ষক বিকাশ ভবন থেকে ১০০ মিটার দূরে সল্টলেক সেন্ট্রাল পার্ক মেলা মাঠের সামনে অবস্থানে বসেন। প্রথম দিনই তাঁরা রাজ্য সরকারকে তিন দিন সময়সীমা ধার্য করে দিয়েছিলেন তাঁদের দাবি-দাওয়া মেনে নেওয়ার জন্য। কিন্তু তিন দিনেও সরকারের তরফে কোনওরকম সদুত্তর বা আশ্বাসবার্তা না পেয়ে অনশনের সিদ্ধান্ত নেন অবস্থান-বিক্ষোভকারীরা। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, শুক্রবার রাত থেকে অনশন শুরু করেন ৩০ জন পার্শ্বশিক্ষক ও শিক্ষিকা।
Be the first to comment