মেট্রোরেল কর্তৃক নিযুক্ত বিশেষজ্ঞ কমিটির রিপোর্টে সন্তুষ্ট কলকাতা হাইকোর্ট। দ্বিতীয় টানেল বোরিং মেশিন ৫ মিটার সরানোর আবেদনে সম্মতি দিলো হাইকোর্ট। ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর বর্তমান রুটের কাজ বউবাজারের জমি ধসের পর থমকে গেছে। এই রুটেই ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর কাজ আদৌও আর সম্ভব কি না তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর রুট পরিবর্তন করতে হবে কি না তাও পরিষ্কার নয়। আর এই মামলার নিস্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত এবিষয়ে মন্তব্য করতে নারাজ প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। মামলার পরবর্তী শুনানি ১৬ ডিসেম্বর। মেট্রোরেলের কাজ পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত স্থগিত থাকবে।
১৫ নভেম্বর এই মামলার শেষ শুনানিতে মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ বিশেষজ্ঞ কমিটির রিপোর্ট পেশ করে আদালতে। রিপোর্টে মেট্রোরেলের বিশেষজ্ঞ কমিটি জানায়, দ্বিতীয় টানেল বোরিং মেশিন নির্মলচন্দ্র স্ট্রিটের কাছে রয়েছে। সেই মেশিন পাঁচ মিটার সরালে জীবন ও সম্পত্তির কোনও ক্ষতি হবে না। পাশাপাশি রিপোর্টে আরও বলা হয়, টানেল বোরিং মেশিন সরানোর কাজ সম্পূর্ণটাই করা হবে বিশেষজ্ঞ কমিটির তদারকিতে। মেশিন সরানোর কাজে তত্ত্বাবধান করবেন চেয়ারম্যান লিউনার্ড জন এন্ডিকট।
যদিও মামলাকারীদের তরফে আইনজীবী সপ্তাংশু বসু ও রিজু ঘোষাল প্রধান বিচারপতি টি বি রাধাকৃষ্ণণ ও অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চে জানান, তাঁরা রিপোর্ট না পড়ে এখনই কিছু বলতে পারবেন না। কোনও বিশেষজ্ঞ ইঞ্জিনিয়ারের মতামত নিয়ে তাঁরা মতামত জানাবেন। ইস্ট ওয়েস্ট মেট্রোরেলের সুড়ঙ্গ খোঁড়ার জেরে ১ সেপ্টেম্বর বউবাজার এলাকার একাধিক বাড়ি ভাঙতে শুরু করে। বাড়িগুলোর দেওয়াল থেকে চাঙড় খসে পড়তে শুরু করে। এরপরই একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের তরফে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করা হয়। মামলার শুনানির শুরুতেই মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ জানায়, ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর প্রায় ৯.৮ কিলোমিটারের কাজ ইতিমধ্যেই শেষ হয়ে গেছে। আর মাত্র ১ কিলোমিটার মতো কাজ বাকি আছে। কিন্ত এই কাজ আপাতত বন্ধ রাখছে তারা।
হাইকোর্ট নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত পরবর্তী কাজ তারা শুরু করবে না। সেই থেকে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে চলছে এই মামলার শুনানি। আগামী ১৬ ডিসেম্বর এই মামলার পরবর্তী শুনানি। সব পক্ষই মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষর চুড়ান্ত রিপোর্টের দিকে তাকিয়ে আছে। এই রিপোর্টের উপরই নির্ভর করছে মেট্রোরেলের কাজের গতিবিধি।
Be the first to comment