অনশনরত অবস্থায় মৃত পার্শ্বশিক্ষকের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবি জানালেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি বলেন, অধিকার আদায়ের দাবিতে আন্দোলন করতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে প্রাণ হারাতে হলো পার্শ্ব শিক্ষিকা রেবতী রাউতকে। আন্দোলন করতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন অন্য শিক্ষকরা। অথচ রাজ্য সরকারের কোনও হেলদোল নেই। আরও একবার প্রমাণিত হলো সমাজ গড়ার কারিগর যে শিক্ষক সমাজ, তাঁরা আজ এই পশ্চিমবঙ্গে চরমভাবে অবহেলিত এবং লাঞ্ছিত। আমরা দাবি জানাচ্ছি, রাজ্য সরকার অবিলম্বে আন্দোলনরত পার্শ্ব শিক্ষকদের সাথে আলোচনা বসুক এবং পাশাপাশি মৃত শিক্ষিকারপরিবারকে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দিক।
অনশনরত অবস্থায় মৃত্যু হয়েছে রেবতী রাউত নামে এক পার্শ্বশিক্ষকের ৷ আরও একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক ৷ ঐক্য মঞ্চ ফেসবুক পেজে রেবতী দেবীকে এই আন্দোলনের ‘প্রথম শহিদ’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। তবে রেবতী রাউতের মৃত্যুর কারণ এবং তারিখ নিয়ে রীতিমতো বিতর্ক বেঁধেছে। সংগঠনের দাবি, অনশনজনিত অসুস্থতাতেই রেবতীর মৃত্যু হয়েছে। রেবতী রাউতের মৃত্যু, তাপস বরের ব্রেন স্ট্রোক ছাড়াও অন্তত ৬ জন গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছেন বলে পার্শ্বশিক্ষক ঐক্য মঞ্চের তরফে দাবি করা হয়েছে। তবে পুলিশ সূত্রে দাবি, বাইক থেকে পড়ে মৃত্যু হয়েছে রেবতী রাউত নামে ওই মহিলার। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এখনও মেলেনি।
প্রসঙ্গত, সমকাজে সম বেতন কাঠামোর দাবিতে অনশন শুরু করেছিলেন পার্শ্বশিক্ষকরা। বিকাশ ভবনের উল্টোদিকে অবস্থানরত ছিলেন পার্শ্বশিক্ষকদের একাংশ। জানা গিয়েছে, ১১ নভেম্বর থেকে থেকে ১৮ নভেম্বর পর্যন্ত অনশন আন্দোলনে সামিল ছিলেন রেবতী দেবী। অসুস্থ বোধ করায় ১৮ তারিখ রাতেই বাড়ি ফিরে যান তিনি। সেদিনই তাঁর মৃত্যু হয়।
Be the first to comment