মহারাষ্ট্রের সর্বসম্মত মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরেঃ শরদ পাওয়ার

Spread the love

মহারাষ্ট্রে শিবসেনা-NCP- কংগ্রেস জোট সরকার এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা। সব ঠিকঠাক থাকলে ‘মহারাষ্ট্র বিকাশ অগধি’ সরকারের মুখ্যমন্ত্রী সেনা থেকেই, তাও প্রায় নিশ্চিত। কিন্তু সমস্যা সেই মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী নিয়ে। কে হবেন মুখ্যমন্ত্রী? তাতেই এখন আটকে মহারাষ্ট্রের ভবিষ্যৎ। জট কাটাতে শুক্রবার বৈঠকে বসে সেনা-NCP- কংগ্রেস। বৈঠক শেষে NCP সুপ্রিমো জানান, শনিবার সাংবাদিক বৈঠক করে পুরো বিষয়টি জানানো হবে। সঙ্গে রাজ্যপালের কাছে কবে প্রস্তাব দেওয়া হবে, সেটিও বলা হবে। বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে উদ্ধব ঠাকরের নাম আলোচনা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

একাধিক নাটকের পর সরকার গড়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পথে সেনা-NCP- কংগ্রেস। পাঁচবছর মুখ্যমন্ত্রীও যে সেনা থেকেই হবে তাও প্রায় নিশ্চিত। কিন্তু সমস্যা হয় মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী নিয়ে। সেনার তরফে প্রথম থেকেই তরুণ প্রজন্মের উপর জোর দিলেও সূত্রের খবর, আদিত্য ঠাকরের নেতৃত্বে কাজ করতে সমস্যা হতে পারে এই আশঙ্কা করে উদ্ধবকে মুখ্যমন্ত্রী পদ প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। প্রস্তাব দিয়েছেন NCP প্রধান শরদ পাওয়ার। কিন্তু ছেলেকে সরিয়ে আদৌ কি মুখ্যমন্ত্রী হতে চাইবেন উদ্ধব? তা জানাতে সময় চান তিনি। বিধায়কদের সঙ্গে কথা বলার পরই এই বিষয়ে মত দেবেন বলে জানান।

তবে, উদ্ধবই মুখ্যমন্ত্রী হোক, চাইছে NCP। জট কাটাতে মুম্বইতে বৈঠকে সেনা-NCP- কংগ্রেস।

এদিকে জল্পনা বাড়িয়ে শিবসেনার মুখপাত্র সঞ্জয় রাউত আজ দাবি করেন, পাঁচ বছরই মুখ্যমন্ত্রী থাকবে সেনার এবং তাতে রাজি হয়েছে বাকি দুই দল। এদিকে, আবার কংগ্রেসের মল্লিকার্জুন খাড়গে জানান, পাঁচ বছরই যে সেনার তরফে মুখ্যমন্ত্রী হবে তা এখনও ঠিক হয়নি। তবে, সবকিছুর মাঝেই নজরে এখন অদিত্য, উদ্ধব। ৫০:৫০ ফরমূলায় মুখ্যমন্ত্রী হলেও কুর্সিতে বাবা না ছেলে তার দিকেই তাকিয়ে মহারাষ্ট্র।

২৫ বছরের জোটসঙ্গী শিবসেনার সঙ্গে এবারও ভোটে লড়েছিল বিজেপি। ম্যাজিক ফিগার ১৪৫ অনায়াসেই পেরিয়ে যায় তারা। কিন্তু, মুখ্যমন্ত্রীত্বের প্রশ্নে ফাটল দেখা দেয় তাদের মধ্যে। আড়াই বছর করে মুখ্যমন্ত্রীত্ব ভাগাভাগির বিষয়ে অনড় থাকে শিবসেনা। এর মাঝেই হস্তক্ষেপ করেন রাজ্যপাল ভগৎ সিং কোশিয়ারি। তিনি প্রথমে বিজেপি, পরে শিবসেনা ও তারপর NCP-কে ডেকে পাঠালেও কেউই সরকার গঠন নিয়ে তাদের অবস্থান জানাতে পারে না। শিবসেনা তিন দিন সময় চাইলেও, তা দিতে চাননি রাজ্যপাল ৷ আর NCP-কে দেওয়া সময় শেষ হওয়ার আগেই রাষ্ট্রপতি শাসনের সুপারিশ করেন তিনি। তাতে সিলমোহর দেয় কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভা। পরে তাতে সই করেন রাষ্ট্রপতি অর্থাৎ মহারাষ্ট্রে জারি হয় রাষ্ট্রপতি শাসন।

রাজ্যপাল তাদের সময় না দেওয়ায় প্রশ্ন তোলে শিবসেনা। যায় সুপ্রিম কোর্টে। রাজ্যপাল সরকার গড়ার ব্যাপারে তাদের সময় দেয়নি বলে অভিযোগ জানায়। এরই মধ্যে সরকার গড়ার ব্যাপারে NCP ও কংগ্রেসের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যেতে থাকে সেনা । টানা দু’দিন এই নিয়ে শরদ পাওয়ারের বৈঠকও করেন উদ্ধব। ফোনে কথা হয় কংগ্রেসের অন্তর্বতীকালীন সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে। যদিও পুরো বিষয়টি নিয়ে ধীরে চলার নীতি নিয়েই চলে কংগ্রেস ও NCP।

আজ আগামীদিনের রণকৌশন ও মুখ্যমন্ত্রী পদ প্রার্থী নিয়ে বৈঠকে বসে তিন দল। বৈঠক শেষে শরদ পাওয়ার বলেন, আগামীকাল সাংবাদিক বৈঠক করবে তিন দল। জোট সরকার এবং আরও বিভিন্ন বিষয়ে এখনও বৈঠক চলছে। আগামীকাল আমরা এও ঠিক করব কবে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করা হবে। বৈঠকে মু্খ্যমন্ত্রী হিসেবে উদ্ধবের নাম উঠে আসছে। এনিয়ে এখনও আলোচনা চলছে।



Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*