রাজ্যে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক চালিয়েছে বিজেপি। গেরুয়া শিবিরের এই দাবিকে ব্যঙ্গ করে ‘ফার্জিক্যাল স্ট্রাইক’ বললেন শিবসেনা প্রধান শরদ পাওয়ার ৷ সেইসঙ্গে এটা বিজেপির ‘নির্লজ্জ রাজনীতি’ বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
শনিবার সকালে আচমকা মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়ে নেন দেবেন্দ্র ফডণবীশ। তাঁর সঙ্গেই উপমুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন এনসিপি অজিত পাওয়ার। খবর ছড়াতেই গোটা দেশজুড়ে এনিয়ে হইচই শুরু হয়ে যায়। পরে যৌথ সাংবাদিক সম্মেলনে শরদ পাওয়ার বলেন, অজিত পাওয়ার যে এরকমটা করবেন তা দলের কেউই ঘূণাক্ষরে টের পাননি। সকাল সাড়ে ছটা নাগাদ একটি ফোন আসে। সেখান থেকেই বুঝতে পারি দলে বিদ্রোহ হয়েছে। অজিত পাওয়ার দলের কিছু বিধায়ককে নিয়ে রাজভবনে গিয়েছেন। অজিত পাওয়ারের সঙ্গে গিয়েছে ৮-১০ বিধায়ক। তবে এই ধাক্কা সামলে উঠব আমরা। আমরা তিন দল এক থাকব।
শরদ পাওয়ার আরও বলেন, দলের বিধায়কদের খুব শীঘ্রই বৈঠকে ডাকব। তবে সেই বৈঠকে সবাই আসবেন কিনা বলতে পারব না অর্থাৎ পাওয়ার স্বীকার করেই নিলেন তাঁর দলের কিছু বিধায়ক দল ছেড়েছেন। তবে এর বিরুদ্ধে আমরা একসঙ্গে লড়াই করব। শেষ পর্যন্ত আমাদেরই জয় হবে। উদ্ধব ঠাকরের নেতৃত্বেই সরকার গড়তে চাই।
এরপরই নতুন দিকে মোড় নিয়েছে মহারাষ্ট্রে সরকার গঠনের নাটক। বিকালে সুপ্রিম কোর্টে ফডণবীশ ও অজিত পাওয়ারের বিরুদ্ধে রিট পিটিশন দাখিল করল শিবসেনা, কংগ্রেস ও এনসিপি। মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দেবেন্দ্র ফডণবীশ ও উপমুখ্যমন্ত্রী হিসেবে অজিত পাওয়ারের নিয়োগকে চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে শিবসেনার করা ওই পিটিশনে। এই নিয়ে কংগ্রেস নেতা অশোক চহ্বন সংবাদমাধ্যমে বলেন, অপমানিত হওয়ার আগে ফডণবীশের উচিত পদত্যাগ করা। পাশাপাশি, মহরাষ্ট্রের রাজ্যপালের বিরুদ্ধেও অভিযোগ আনা হয়েছে বলে সূত্রের খবর।
এদিকে অজিত পাওয়ারের বহিষ্কারের ব্যাপারে শরদ পাওয়ার বলেন, বারো ঘণ্টার মধ্যেই অজিত পাওয়ার ধ্বংস হয়ে যাবে। শুধু তাই নয় মহারাষ্ট্রের রাজনীতির এই নাটকীয় মোড়ককে শিবসেনা ‘ফার্জিকাল স্ট্রাইক’ বলেছেন। অন্যদিকে, শিবসেনার মুখপাত্র সঞ্জয় রাউত জানিয়েছেন যে, শরদ পাওয়ারের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করা হয়েছে।
Be the first to comment