টার্গেট ছিল সেপ্টেম্বরের মধ্যে কাজ শেষ করার। সেই কাজ এখনও শেষ হয়নি। নবান্নের তরফে চেষ্টা চলছে ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময়ের মধ্যে সেই কাজ শেষ করার। কিন্তু সে বিষয়ে এখনও কোনও নিশ্চয়তা নেই। কারণ রেলওয়ে সেফটি কমিশনারের ছাড়পত্র এখনও পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। এদিকে সামনেই গঙ্গাসাগর মেলা। চাপ বাড়বে পুণ্যার্থীদের। তাই রেলমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ দাবি করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। চিঠি দিলেন পীযূষ গোয়েলকে।
মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা মত বিশেষজ্ঞদল মাঝেরহাট সেতু পরিদর্শন করে। তারপর তৈরি হয় পরিকল্পনা। ডাকা হয় টেন্ডার। গত বছর নভেম্বরে ব্রিজটি ভেঙে ফেলার কাজ শুরু হয়। নতুন ব্রিজ তৈরিতে নামে বিশেষজ্ঞ সংস্থা। কিন্তু সেই কাজ এখনও পর্যন্ত শেষ করতে পারেনি সংস্থাটি। কিন্তু কেন? ব্রিজের যে অংশগুলি পূর্ত দপ্তরের অধীন সেগুলির কাজ চলছে দ্রুত গতিতে। অন্তত রাজ্যের পূর্ত দপ্তরের দাবি তেমনই। কিন্ত রেলের অংশের জন্যই থমকে রয়েছে কাজের ভবিষ্যৎ।
পূর্ত দপ্তরের সূত্রে খবর, ব্রিজ তৈরির জন্য রেলের অনুমোদন লাগবে। কারণ শিয়ালদা রেল লাইনের উপর দিয়ে এই সেতুর একটা বড় অংশ রয়েছে। নিয়ম মোতাবেক রেললাইনের উপর দিয়ে সেতু তৈরি করতে হলে রেলের অনুমোদন পেতে হয়। রেলের তরফে সেই অনুমোদন এখনও দেওয়া হয়নি বলে দাবি রেল কর্তৃপক্ষের। রেল সূত্রে জানা গেছে, ব্রিজের নকশা মাস দেড়েক আগে তাদের কাছে পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি পর্যালোচনা করছে রেলওয়ে সুরক্ষা কমিটি। নিরাপত্তার বিষয়ে সম্পূর্ণ নিশ্চিত হয়ে তবেই এই নকশায় অনুমোদন দেওয়া হবে।
ব্রিজের কাজ পিছিয়ে যাওয়ার কারণ হিসেবে সরকারের বক্তব্য, “এটা প্রসিডিওরাল ডিলে। কারণ সবকিছু খতিয়ে দেখে তবেই ব্রিজের নকশা তৈরি করা হয়েছে। প্রস্তাবিত ব্রিজের নকশা তৈরি করেছে লি অ্যাসোসিয়েটস নামে দিল্লির একটি সংস্থা।” এদিকে সরকারের শীর্ষ আধিকারিকদের বক্তব্য, ব্রিজ তৈরির কাজ শেষ হতে হতে ২০২০ সালের মার্চ হয়ে যাবে।
মমতা চিঠিতে লিখেছেন, গঙ্গাসাগর মেলার জাতীয় গুরুত্ব রয়েছে। গঙ্গাসাগর যাওয়ার পথে এই ব্রিজ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। রাজ্য সরকার চাইছে গঙ্গাসাগর মেলার আগেই এই ব্রিজের কাজ শেষ করতে। তাই পীযূষ গোয়েলের হস্তক্ষেপের দাবি জানিয়েছেন তিনি।
দেখুন মমতার লেখা চিঠি!
Be the first to comment