আসন্ন ঝাড়খণ্ড বিধানসভা নির্বাচনেও হারবে বিজেপি, এমনই ইঙ্গিত দিলেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার তিনটি বিধানসভা উপনির্বাচনের ফলপ্রকাশে দেখা যায় বিজেপিকে কার্যত ধরাশায়ী করে নিজেদের ক্ষমতা ধরে রেখেছে তৃণমূল। ভোটে জিতে স্বভাবতই পুরনো আত্মবিশ্বাস ফিরে পেয়েছে তৃণমূল।
বৃহস্পতিবার ফলপ্রকাশের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, আমার মনে হয় বিজেপি ঝাড়খণ্ডেও হারবে। এই বিধানসভা নির্বাচনে আমি এমনই ইঙ্গিত পাচ্ছি। উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই বিজেপির সঙ্গে জোট ছিন্ন করার বার্তা দিয়েছিল অল ঝাড়খণ্ড স্টুডেন্ট ইউনিয়ন (এজেএসইউ)। এই শরিক সরে যাওয়ায় বেশ ছাপে রঘুবর দাসের সরকার। এমনিতেই মহারাষ্ট্রে মরিয়া চেষ্টা করেও ক্ষমতা ধরে রাখতে পারেনি বিজেপি। ৮০ ঘণ্টার মাথায় মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দেন বিজেপির দেবেন্দ্র ফডণবীশ। বৃহস্পতিবারেই কংগ্রেস-শিবসেনা-এনসিপির সরকারে মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ গ্রহণ করেন উদ্ধব ঠাকরে। ঝাড়খণ্ডে পদ্ম ফুটিয়ে রাখতে পারবে কি না সেটাই এখন সবথেকে বড় প্রশ্ন।
আর এই রকম পরিস্থিতিতে বিজেপির বিরুদ্ধে তোপ দাগেন তৃণমূলনেত্রী। এ দিন তিনি বলেন, বাংলাকে কিছুতেই ভাগ হতে দেব না। এনআরসি নিয়ে সারা দেশে বিজেপি যা শুরু করেছে সেটারই জবাব দিয়েছে সাধারণ মানুষ।
আর এই জয়কে বিজেপির পতনের শুরু বলেই মনে করছেন তৃণমূলনেত্রী। কিন্তু গত লোকসভা ভোটেও ছবিটা ছিল অন্যরকম। ঝাড়খণ্ডে শরিক দল এজেএসইউ-এর জোট সরকারে নিশ্চিন্তই ছিল বিজেপি হাইকম্যান্ড। কিন্তু, চিত্রনাট্যে আমূল পরিবর্তন ঘটে চলতি মাসের শুরুতে। আসন্ন নির্বাচনে আসন ভাগাভাগি নিয়ে সংঘাতে জড়ায় বিজেপি এবং এজেএসইউ। এজেএসইউ প্রধান সুদেশ মাহাতো জানিয়েও দেন এই নির্বাচনে একাই লড়বে তাঁরা।
আর এর ফলেই রক্তচাপ বেড়েছে গেরুয়া শিবিরের। শুধু ঝাড়খণ্ডই নয় বঙ্গের রাজনীতিতেও জোর ধাক্কা খেয়েছে বিজেপি। মাত্র ছ’মাস আগের ছবিটাই পাল্টে গিয়েছে তিন কেন্দ্রের উপনির্বাচনে। তিনটি কেন্দ্রেই অভাবনীয় সাফল্য পেয়েছে তৃণমূল। উল্টে বিজেপির শুধু ফল খারাপই হয়নি, উল্টে হাতছাড়া হয়েছে দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের জেতা আসনও।
Be the first to comment