সাম্প্রতিক অর্থনীতির হাল নিয়ে বিজেপি এবং কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ শানালেন কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। শুক্রবারই জানা গিয়েছিল জুলাই-সেপ্টেম্বর ত্রৈমাসিকে অভ্যন্তরীণ আর্থিক বৃদ্ধি তথা জিডিপি বৃদ্ধির হার এসে ঠেকেছে ৪.৫ শতাংশে। এ নিয়ে গতকালই প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী তথা অর্থনীতিবিদ মনমোহন সিং নরেন্দ্র মোদী সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছিলেন। শনিবার টুইট করে প্রিয়াঙ্কা লেখেন, “প্রতিশ্রুতির পর প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। বছরে দু’কোটি বেকারের কর্মসংস্থান হবে, অচ্ছে দিন আসবে, দেশে পাঁচ ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতি তৈরি হবে—একটাও পূরণ হয়েছে?” তিনি ওই টুইটে আরও লেখেন, “ জিডিপি এসে ঠেকে ৪.৫ শতাংশে। গোটা বিজেপির ব্যর্থতার জন্য গোটা দেশটা ছারখার হয়ে গেল।”
এদিন অর্থনীতির হাল নিয়ে জেল থেকে তোপ দেগেছেন প্রাক্তন অর্থ ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পি চিদম্বরমও। চিদম্বরমের হয়ে তাঁর পরিবার এদিন একটি টুইট করেছে। তাতে প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী বলেছেন, “অনেকেই আশঙ্কা করেছিলেন, জিডিপি-র হার কমবে। বাস্তবে দেখা গিয়েছে দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে তা কমে দাঁড়িয়েছে ৪.৫ শতাংশ। তারপরেও সরকার বলে যাচ্ছে, অল ইজ ওয়েল। মনে হচ্ছে, তৃতীয় ত্রৈমাসিকে অবস্থা আরও খারাপ হবে।”
গতকাল মনোহন বলেছিলেন, “সমাজে একটা ভীতির পরিবেশ তৈরি হয়েছে। তা বদলে আত্মবিশ্বাসের পরিবেশ গড়ে তুলতে হবে। সেটাই বৃদ্ধির পথকে সুগম করবে। একমাত্র তখনই ঘুরে দাঁড়াতে পারে অর্থনীতি।” সেইসঙ্গে তিনি আরও বলেন, “আমি মহান সব অর্থনৈতিক শিক্ষকের সান্নিধ্যে থেকে পঠনপাঠন করেছি। যেমন জোয়ান রবিনসন, নিকোলাস কালডোর, রিচার্ড কান প্রমুখ। তাঁরা বুঝিয়েছিলেন, অর্থনৈতিক বৃদ্ধি এবং উন্নয়নের পরিবেশ গড়ে দেয় আসলে সমাজ। অর্থাৎ সমাজই বৃদ্ধি ও বিকাশের কারিগর। দেশের অর্থনীতি থেকে কেউ সমাজকে বিচ্ছিন্ন করে রাখতে পারে না। বরং সমাজ সুস্থ থাকলে তবেই বিকাশ ও বৃদ্ধি মসৃণ হতে পারে।” এদিন আরও সুর চড়িয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন সোনিয়া-কন্যা।
Be the first to comment