নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলে ছাড় দেওয়া হল অরুণাচল প্রদেশ, মেঘালয়, অসম, নাগাল্যান্ড, ত্রিপুরা ও মিজোরামের উপজাতি অধ্যুষিত অঞ্চলগুলি৷ বুধবারই কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় পাস হয়ে গিয়েছে নাগরকিত্ব সংশোধনী বিল৷ সংবিধানের ষষ্ঠ তপশিলকে মান্যতা দিয়ে, উত্তর-পূর্বের ওই রাজ্যগুলির উপজাতিদের ছাড় দেওয়া হয়েছে৷
উত্তর-পূর্বে উপজাতি এলাকার প্রতিনিধিরা প্রথম থকেই নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের বিরোধিতা করছেন৷ নাগরিকত্ব আইন ১৯৫৫-এর সংশোধনী বিলে বলা হয়েছে, সেই সব হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন, পারসি ও খ্রিস্টানদের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে, যাঁরা ধর্মীয় নিপীড়নের জেরে বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে পালিয়ে ভারতে এসে আশ্রয় নেন৷ ১৯৫৫ সালের নাগরিকত্ব আইনে ভারতের নাগরিকত্ব পাওয়ার জন্য ১২ মাস টানা ভারতে থাকতে হত৷ একই সঙ্গে গত ১৪ বছরের মধ্যে ১১ বছর ভারতবাস জরুরি ছিল। সংশোধনী বিলে দ্বিতীয় নিয়মে পরিবর্তন ঘটানো হচ্ছে। ভারত, বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্থান থেকে আনা নির্দিষ্ট ৬টি ধর্মাবলম্বীদের জন্য ১১ বছর সময়কালটিকে নামিয়ে আনা হচ্ছে ৬ বছরে।
বেআইনি অভিবাসীরা ভারতের নাগরিক হতে পারে না। এই আইনের আওতায়, যদি পাসপোর্ট বা ভিসা ছাড়া কেউ দেশে প্রবেশ করে থাকেন, বৈধ নথি নিয়ে প্রবেশ করার পর নির্দিষ্ট সময়কালের বেশি এ দেশে বাস করে থাকেন, তা হলে তিনি বিদেশি অবৈধ অভিবাসী বলে গণ্য হবেন।
মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ প্রস্তাবিত নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল ২০১৬ নিয়ে অসমের বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের প্রতিনিধি ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেন৷ অল অসম স্টুডেন্টস ইউনিয়ন-সহ একাধিক ছাত্র সংগঠন নাগরিকত্ব বিল নিয়ে তাদের দুশ্চিন্তার কথা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে জানায়৷ একই সঙ্গে উত্তর-পূর্ব ভারতের বাসিন্দাদের উপর এই বিলের কী প্রভাব পড়তে পারে, সে বিষয়েও অমিত শাহকে জানান তাঁরা৷
Be the first to comment