মৌসুমী রায় সরকার (বিভাগীয় প্রধান)
আজকে আমি প্রথমেই ‘রোজদিন.ইন’ পোর্টালের তরফ থেকে সমস্ত রন্ধন উৎসাহী তথা রন্ধন শিল্পী বন্ধুদের অনেক শুভেচ্ছা জানাচ্ছি আমাদের পাশে থাকার জন্য। আমাদের ‘রোজদিন.ইন’ পোর্টালের যে নতুন যাত্রাপথ গত তিন মাস ধরে শুরু হয়েছে তার প্রথম সেগমেন্ট ‘নব আনন্দে জাগো’-তে আমাদের রন্ধন উৎসাহী বন্ধুদের যে এই ভাবে পাশে পাবো তা আমাদের ভাবনার অতীত। খুব ছোট্ট একটা ইচ্ছাকে আমল দেওয়াই ছিল আমাদের ‘রোজদিন.ইন’-এর মূল লক্ষ্য। যে সকল মহিলারা দিবারাত্র নিজেদের পরিবারের কাছের মানুষদের জন্য বিভিন্ন রান্নাবান্না করে তাঁদের মন ভালো রাখার চেষ্টায় অবিরত তাঁদের রন্ধন শিল্পকে একটু স্বীকৃতি দেওয়ার অঙ্গীকার থেকেই ‘নব আনন্দে জাগো’ সেগমেন্ট। এই সেগমেন্টটি যথেষ্ট সাড়া পেয়েছে। আর তাতে আমরা সত্যিই আপ্লুত।রন্ধন শিল্পী মহলের কাছে একটাই আমি আবদার রাখবো আপনারা আমাদের পাশে বন্ধু হিসাবে থাকুন। আশা করি আগামী দিনে আপনারাও আমাদের থেকে যথাযথ বন্ধুত্বের মর্যাদা পাবেন।
আজকে ‘রোজদিন.ইন’ পোর্টালের “নব আনন্দে জাগো” সেগমেন্টে যার অভিনব রেসিপি আমরা পাচ্ছি তিনি নিজে অত্যন্ত ভালো রান্না জানলেও তাঁর রন্ধন শিল্প বাড়ির চার দেওয়ালের মধ্যে আবদ্ধ ছিল এতদিন কিন্তু আজ তাঁর বোনের উদ্যোগে তিনি আজ থেকে রন্ধন জগতে পা রাখলেন। তাঁর নাম কৃষ্ণা ঘোষ। তিনি এতকাল ঘরের প্রয়োজনের খাতিরে রান্না বান্না যত টুকু প্রয়োজন সেটুকুই করতেন কিন্তু ‘রোজদিন.ইন’ পোর্টালের “আহারে বাহারে” বিভাগ নিয়মিত পাঠ করতে করতে তাঁর রন্ধন জগৎ-এর প্রতি ভালোবাসা জন্মে যায় এবং তাঁর বোনও রন্ধন জগতের একজন অত্যন্ত গুণী শিল্পী হওয়ার সুবাদে আজ তার হাত ধরেই কৃষ্ণাদির অভিনব রেসিপি আমাদের পোর্টাল উপহারস্বরূপ তাঁর থেকে পাচ্ছে। ব্যক্তিগত ভাবে কৃষ্ণাদির ভীষণ একটা ভালো লাগার জায়গা। কৃষ্ণাদি বর্তমানে গৃহবধূ তকমা থেকে বেরিয়ে একজন সফল রেসিপি কন্ট্রিবিউটর। কৃষ্ণাদি চান আগামীদিনে আরও অভিনব রান্না করতে এবং আমাদের পোর্টালের বিভিন্ন সেগমেন্ট মারফৎ মানুষের কাছে সেই রেসিপি গুলো যেন পৌঁছে যেতে পারে সেটাই তাঁর স্বপ্ন।
‘রোজদিন.ইন’-এর সমগ্র টিমের তরফ থেকে কৃষ্ণা ঘোষকে অনেক অনেক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা। তিনি যেন আগামী দিনে রন্ধন জগতে এক বিশেষ নক্ষত্র হিসাবে নিজেকে গড়ে তুলতে পারেন।
কৃষ্ণা ঘোষ
আজকের রেসিপি- “ডিমের তিলোত্তমা”
উপকরন: ১) সেদ্ধ ডিম চারটে ২) তিল তিন টেবিল চামচ ৩) চারমগজ এক চামচ ৪) পেঁয়াজ দুটো মাঝারি মাপের ৫) নুন ও চিনি পরিমান মতো ৬) কাশ্মীরি লঙ্কার গুড়ো এক চামচ হলুদ হাফ চা চামচ ৭) সরষের তেল দুই টেবিল চামচ ৮) ছোট এক চামচ শুকনো খোলায় ভাজা তিল ৯) আদা বাটা এক চামচ ও দুই তিনটে কাঁচালঙ্কা ১০) দই তিন টেবিল চামচ।
প্রনালী: প্রথমে তিল ও চারমগজ আর দুটো পেঁয়াজ এক সাথে মিক্সতে দিয়ে খুব মিহি পেষ্ট করে নিন। ডিম সেদ্ধ করে খোসা ছাড়িয়ে নিন। এবার কড়াইতে তেল গরম করে ডিমে নুন মাখিয়ে হাল্কা করে ভেজে তুলে রাখুন। তারপর কড়াইতে আরো একটু তেল দিন। তেল গরম হলে চিনি দিন। গ্যাস কমিয়ে দিন ও চিনি গলে আসলে হলুদও লঙ্কার গুড়োটা একটু জলে গুলে তেলে ঢেলে দিন এবং সমানে নাড়তে থাকুন।
নাড়তে, নাড়তে যখন জলটা শুকিয়ে আসবে তখন দিন আদা বাটা, কাঁচালঙ্কা আর তিল ও পেঁয়াজের পেস্টটা দিন। এবার খুব ভালো করে কষাতে থাকুন। কিছুক্ষণ কষার পর গ্যাস কমিয়ে ফেটানো দইটা দিন সাথেই দিন লবন টাও এবং সমানে নাড়তে থাকুন।
এবার নাড়তে নাড়তে তেল ছেড়ে আসলে দেড় কাপ জল দিন আর ভেজে রাখা ডিম গুলোও দিয়ে দিন। এবার ঢাকা দিয়ে কম আঁচে মিনিট ৫-৭ হতে দিন (মাঝে এক দুবার একটু নেড়ে দেবেন যাতে তলায় ধরে না যায়)। সাত মিনিট পর ঢাকা খুলে দেখুন গ্রেভি ঘন হয়ে এসেছে কিনা। গ্রেভি মাখা মাখা হয়ে এলে নামিয়ে নিন এবং ওপর থেকে ভাজা তিল ছড়িয়ে গরম, গরম রুটি বা পরোটার সাথে পরিবেশন করুন। ভাতের সাথেও মন্দ লাগবে না। আমার এই নতুন রান্নাটা আপনারা অবশ্যই ট্রাই করুন এবং জানান আপনাদের মূল্যবান মতামত।
Be the first to comment