হায়দরাবাদে পশু চিকিৎসককে গণধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত চার জন শুক্রবার এনকাউন্টারে মারা যায়। SIT গঠন করে এই এনকাউন্টারের যথাযথ তদন্তের সুপ্রিম কোর্টের কাছে আবেদন করলেন আইনজীবী এম এল শর্মা ৷ পাশাপাশি বিচার ছাড়া হত্যাকে উৎসাহ দেওয়ার জন্য রাজ্যসভার সাংসদ জয়া বচ্চন ও দিল্লির মহিলা কমিশনের প্রধান স্বাতী মালিওয়ালের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ারও আর্জি জানান ৷
২৭ নভেম্বর হায়দরবাদারে শাদনগরে এক পশু চিকিৎসককে গণধর্ষণের পর পুড়িয়ে খুন করা হয়। ঘটনায় অভিযুক্ত চার জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তাল হয়ে ওঠে দেশ। সংসদেও তার প্রভাব দেখা যায়। রাজ্যসভার সাংসদ জয়া বচ্চন এই ঘটনার প্রতিবাদ করে বলেন, ধর্ষকদের জনসমক্ষে পেটানো উচিত।
অন্যদিকে দিল্লির মহিলা কমিশনের প্রধান স্বাতী মালিওয়াল দিল্লির যন্তর-মন্তরের সামনে অনশনে বসেন।
হায়দরাবাদ গণধর্ষণের আট দিনের মাথায় গতকাল চার অভিযুক্তকে নিয়ে ঘটনাস্থানে যায় পুলিশ। ঘটনার পুনর্নির্মাণ করে দেখাতে বলে। এরপরই খবর আসে এনকাউন্টারে মৃত্যু হয়েছে হায়দরবাদ গণধর্ষণে অভিযুক্ত চার জনের। পুলিশ জানায়, ঘটনার পুনর্নির্মাণের সময় পালানোর চেষ্টা করে অভিযুক্তরা। তাই পুলিশ বাধ্য হয়ে তাদের এনকাউন্টার করে। এনকাউন্টারের কথা সামনে আসতেই তা সমর্থন করেন স্বাতী মালিওয়াল। তিনি বলেন, “অন্তত সরকারি অতিথি হয়ে দুষ্কৃতীরা থাকবে না।” এনকাউন্টারকে সমর্থন জানান রাজ্যসভার সাংসদ জয়া বচ্চনও। এই দু’জনের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানান আইনজীবী এম এম শর্মা।
আইনজীবী এম এল শর্মা আজ আরও একটি আবেদন করেন। সেখানে তিনি বলেন, যতক্ষণ না ধর্ষণে অভিযুক্তরা দোষী প্রমাণিত হচ্ছে, ততক্ষণ পর্যন্ত যেন খবরের চ্যানেলগুলিতে সেই ধর্ষণ ও অপরাধীদের নিয়ে কোনও অনুষ্ঠান বা টক শো সম্প্রচারিত না হয়।
Be the first to comment