উন্নাও গণধর্ষণ কান্ডে নির্যাতিতার মৃতদেহ শনিবার রাতেই গ্রামে পৌঁছায়। রবিবার সকালে মৃতদেহ নিয়ে শেষযাত্রায় বের হওয়ার উদ্যোগ নেয় প্রতিবেশীরা। কিন্তু বাধ সাধে পরিবার।নির্যাতিতার বোন জানিয়ে দেন, মুখ্যমন্ত্রী না আসা পর্যন্ত দাহ করা হবে না দেহ।
শনিবার রাতে পুলিশ প্রহরায় উন্নাওয়ের গ্রামে আনা হয় নির্যাতিতার মৃতদেহ। রবিবার সকালে নির্যাতিতার দেহ নিয়ে শেষযাত্রার তোড়জোড় চলছিল। কিন্তু দেহ দাহ করতে অস্বীকার করে পরিবার। সেখানে উপস্থিত সংবাদসংস্থাকে নির্যাতিতার বোন বলেন, মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ না এলে দেহ দাহ করা হবে না। আমি যোগীজির সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে কথা বলতে চাই। পরিবারকে সাহায্য করার জন্য আমি সরকারি চাকরি চাই। দোষীদের ফাঁসি দিতে হবে। আমরা চাই যোগীজি এখানে এসে নিজের সিদ্ধান্ত জানাক।
গতকাল নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন যোগীর মন্ত্রীসভার দুই সদস্য কমলরানি বরুণ ও স্বামী প্রসাদ মৌর্য। পরিবারের সঙ্গে কথা বলার পর কমলরানি বলেন, রাজ্য সরকার নির্যাতিতার পরিবারকে ২৫ লাখ টাকা আর্থিক সাহায্য করবে। পরিবারের দাবি মেনে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় বাড়িও দেওয়া হবে। গতকাল নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধীও। আজ সমাজবাদী পার্টির সদস্যরা নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন।
উল্লেখ্য, ৬ ডিসেম্বর দিল্লিতে চিকিৎসা চলাকালীন উন্নাও গণধর্ষণ কাণ্ডে নির্যাতিতার মৃত্যু হয়। দুষ্কৃতীরা নির্যাতিতার গায়ে আগুন দিয়েছিল। দেহ নব্বই শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল নির্যাতিতার।
Be the first to comment