বহু টালবাহানার পর কর্নাটক দখল করেছিল বিজেপি। কিন্তু, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে বিজেপিতে যোগদানকারী ১৭ কংগ্রেস ও জেডিএস বিধায়কদের সদস্য পদ খারিজ হয়ে যেতেই সংখ্যালঘু হয়ে পড়ে বি এস ইয়েদুরাপ্পা সরকার। গত বৃহস্পতিবার ১৫ কেন্দ্রে উপনির্বাচন হয়। সরকার টিঁকিয়ে রাখতে বিজেপির প্রয়োজন ছিল ৬ আসনের। যা সহজেই হাসিল করল গেরুয়া শিবির। ফলে পদ্মের দখলেই রইলো কর্নাটক। গণনায় আরও ৬টি কেন্দ্রে এগিয়ে রয়েছেন গেরুয়া প্রার্থীরা। ২টি কেন্দ্রে এগিয়ে রয়েছে কংগ্রেস। একটিতে এগিয়ে নির্দল প্রার্থী।
কর্নাটকে উপনির্বাচনে সাফল্যের পরই ইয়েদুরাপ্পাকে অভিনন্দন জানান প্রধানমন্ত্রী মোদী। এদিনের জয় ‘স্থায়ী সরকারের পক্ষে রাজ্যবাসীর রায়’ বলে ঝাড়খণ্ডের ভোটের প্রচারসভায় বলেন তিনি।
২২৪ আসন বিশিষ্ট কর্নাটক বিধানসবায় এক নির্দল বিধায়কের সমর্থন সহ বর্তমানে বিজেপির বিধায়ক সংখ্যা ১০৫। কংগ্রেস ও জনতাদল সেকুলারের বিধায়ক সংখ্যা যথাক্রমে ৬৬ এবং ৩৪ জন। এছাড়াও একজন বহুজন সমাজপার্টি সদস্য, একজন মনোানীত সদস্য এবং স্পিকার রয়েছেন। রাজারাজেশ্বরী নগর ও মাসকি আসনের ভোট আপাতত কর্নাটক হাইকোর্টে বিচারাধীন। ১৫ আসনে উপনির্বাচনে বিজেপি, ১১ জন বিক্ষুব্ধ প্রাক্তন কংগ্রেস বিধায়ককেই তাদের প্রার্থী তালিকায় ঠাঁই দিয়েছে। এছাড়াও ৩ জন বিক্ষুব্ধ প্রাক্তন জেডিএস বিধায়ককেও প্রার্থী করেছে গেরিয়া শিবির। ১৪ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পরই এরা বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন।
গত জুলাই মাসে দলত্যাগ বিরোধী আইনে কংগ্রেসের ১৪ জন এবং জেডিএসের ৩ জনের বিধায়ক পদ খারিজ করে দিয়েছিলেন কর্নাটকের তৎকালীন স্পিকার। একই সঙ্গে, ২০২৩ সাল অর্থাৎ বর্তমান বিধানসভার মেয়াদ পর্যন্ত তাঁরা ভোটে লড়তে পারবেন না বলেও নির্দেশ দেন । সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যান বিদ্রোহীরা। পাল্টা আদালতে যায় কংগ্রেস এবং জেডিএস-ও। গত ১৪ নভেম্বর সেই মামলারই রায় দেয় সুপ্রিম কোর্ট। বিধায়ক পদ খারিজ হয়ে যায় দলত্যাগী কং-জেডিএস বিধায়কদের। তবে, নির্দেশে বলা হয় আগামিতে ভোটে লড়াই করতে পারবেন তারা।
আথানি, কাগোয়াড, গোকক, ইয়েল্লাপুরা, হিরেকেরুর, রানিবেন্নুর, বিজয়নগর, চিকবাল্লাপুরা, কেআরপুরা, ইয়াবসবন্তপুরা, মহালক্ষ্মী লেআউট, শিবাজিনগর, হোসাকোটে, কেআরপেটে, হুনসুর কেন্দ্রে উপনির্বাচন হয়েছিল ৫ই নভেম্বর।
Be the first to comment