শুরুটা হয়েছিল যাদবপুর ও সংলগ্ন অঞ্চল থেকে। মাত্র দুদিনেই বহু মানুষের অ্যাকাউন্ট থেকে উধাও হয়ে যায় টাকা। তারপর রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় একই জিনিস হয়। অভিযোগের পাহাড় জমা পড়ে পুলিশের কাছে। তারপর থেকেই আদাজল খেয়ে এই এটিএম দুর্নীতির পর্দা ফাঁস করতে উঠেপড়ে লেগেছিল পুলিশ। অবশেষে সাফল্য মিলল দিল্লির গ্রেটার কৈলাশ থেকে।
গোয়েন্দা দফতরের অফিসাররা ওই ঘটনায় দিল্লি থেকে গ্রেফতার করলেন রোমানিয়ান বাসিন্দা সিলিভুই ফ্লোরিন স্পিরিডন নামে এক যুবককে। তাঁর বয়স ২৮ বছর। শুধু গ্রেফতার করাই নয়, তাঁর কাছ থেকে নানা ধরণের যন্ত্রাংশ, যেমন- ম্যাগনেটিক চিপ, ব্যাটারি, পিন হোল ক্যামেরা চিপ উদ্ধার হয়েছে। পুলিশের দাবি, এই সবকিছুই সে ব্যবহার করত এটিএম দুর্নীতিতে। পুলিশের কাছে সে নিজের দোষও স্বীকার করেছে বলে দাবি।
দিনকয়েক আগেই কলকাতা-সহ নানান জায়গায় গ্রাহকদের অজান্তেই অ্যাকাউন্ট থেকে উধাও হয়ে যাচ্ছিল মোটা অঙ্কের টাকা। বিভিন্ন থানায় সেই নিয়ে অভিযোগও জমা পড়ে। সেই গায়েব হওয়া টাকার অঙ্ক মোটেই কম নয়। কারও ১৫ হাজার তো কারও ৪০ হাজার। হঠাতই মোবাইল মেসেজ ঢুকলে তাঁরা বুঝতে পারেন মারাত্মক ঘটনা ঘটেছে।
Be the first to comment