লাভপুর হত্যা মামলায় আগাম জামিনের আবেদন জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন বিজেপি নেতা মুকুল রায়। বিচারপতি জয়মাল্য বাগচি ও বিচারপতি শুভ্রা ঘোষের ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন দায়ের হয়েছে। আগামীকাল ওই আবেদনের শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে।
বীরভূমের লাভপুরে তিন CPI(M) কর্মীকে খুনের মামলায় গতকাল সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট পেশ করেছে বোলপুর আদালত। তাতে নাম রয়েছে বীরভূম জেলার এক সময়ের দাপুটে নেতা মণিরুল ইসলামের। পাশাপাশি হত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে এই মামলায় নাম জড়িয়েছে বিজেপি নেতা মুকুল রায়ের। রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতেই তাঁর নাম জড়ানো হয়েছে, এই দাবিতে আজ কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন মুকুল রায়।
২০১০ সালের ৪ জুন লাভপুরের নবগ্রামে সালিশি সভার নাম করে তিন ভাইকে পিটিয়ে হত্যা করার অভিযোগ ওঠে মণিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে ৷ সেসময় মণিরুল ইসলাম ছিলেন ফরওয়ার্ড ব্লকের নেতা। এরপর তিনি যোগ দেন তৃণমূলে। কুটুন শেখ, ধানু শেখ ও তারক শেখকে পিটিয়ে মারার অভিযোগে লাভপুর মামলায় পুলিশ ২০১৪ সালে একটি চার্জশিট জমা দেয় ৷ সেই চার্জশিটে মোট ৪২ জনের নাম ছিল ৷ কিন্তু তখনকার FIR বা চার্জশিট কোনওটাতেই মুকুল রায়ের নাম ছিল না ৷
এরপর হাইকোর্টের নির্দেশে পুনরায় এই মামলার তদন্ত শুরু হয়। কারণ মৃত তিনজনের মা কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন বিচারের দাবিতে। এই মামলায় যে সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট জমা পড়ে, তাতে নাম ছিল মণিরুল ইসলামের। এছাড়া হত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে বিজেপি নেতা মুকুল রায়ের নামও চার্জশিটে ছিল। এর বিরুদ্ধেই আজ কলকাতা হাইকোর্টে আগাম জামিনের আবেদন জানিয়েছেন মুকুলবাবু। তাঁর দাবি, রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতেই তাঁর নাম জড়ানো হয়েছে।
Be the first to comment