বহু প্রতীক্ষিত মুহূর্ত। নোবেল পুরস্কার গ্রহণ করলেন অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়। ভারতীয় তথা বাঙালি সাক্ষী হয়ে রইল সেই গর্বের মুহূর্তের। অর্থনীতিতে এবার যৌথভাবে নোবেল পেয়েছেন অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তাঁর স্ত্রী এস্থার ডুফলো ও মাইকেল ক্রেমার। মঙ্গলবার ছিল সেই নোবেল পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠান। সুইডেনে সেই বিশেষ মঞ্চে এদিন ভারতীয় পোশাকেই উপস্থিত ছিলেন অভিজিৎ ও এস্থার। এদিন অভিজিতের পরণে ছিল ধুতি, কুর্তা, পাঞ্জাবী আর এস্থারের পরণে ছিল শাড়ী।
প্রসঙ্গত, দুদিন আগে রবিবার পশ্চিমী কোর্ট টাই নয় বরং এদেশিয় কুর্তা, নেহরু জ্যাকেট আর ট্রাউজার্স পরে অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায় এসেছিলেন ২০১৯ সালের অর্থনীতির নোবেল পুরস্কার প্রাপকের ভাষণ দিতে। সেই ভাষণে তিনি তাঁর কার্যপদ্ধতি ব্যাখ্যা করেন। বোঝান আরসিটি (র্যান্ডমাইজড কন্ট্রোলড ট্রায়াল) এসে কেমন পাল্টে দিয়েছে অর্থশাস্ত্রের গতিপ্রকৃতি। আর সেকথা বলতে গিয়ে প্রচলিত বিশ্বাসকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে অভিজিতের ত্বত্ত, গরিবের হাতে টাকা দিলে তাঁরা আদৌ অলস হয়ে পড়েন না ৷
দারিদ্র দূরীকরণের পথ খুঁজতে গিয়ে অভিজিৎ দেখতে চেয়েছেন, কোনও দরিদ্র ব্যক্তিকে অর্থসাহায্য করলে কি তিনি আদৌ অলস হয়ে পড়েন কিংবা ধনী হলেই কি মানুষ আদতে অলস কি না? আর্থিক নিশ্চয়তা এলে রোজগারের তাগিদ কতটা কমে যায় সেটা লক্ষ্য করতে চেয়েছেন ৷ সেক্ষেত্রে কোনও দরিদ্রকে টাকা দিলে সে কর্মক্ষমতা হারাচ্ছে কি না? আরসিটি-র মাধ্যমে সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজেছেন অভিজিৎ।
গত ১৪ অক্টোবর নোবেল কমিটি এবারের অর্থনীতির জন্য অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়, এস্থার ডুফলো ও মাইকেল ক্রেমারের নাম এবার নোবেল পুরস্কারের জন্য ঘোষণা করা হয়েছিল ৷ সাউথ পয়েন্ট, প্রেসিডেন্সি এবং জেএনইউ-এর প্রাক্তনী অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ অভিজিতের বাবা দীপক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং মা নির্মলা উভয়েই অর্থনীতির অধ্যাপক। নির্মলা বন্দ্যোপাধ্যায় ছিলেন সেন্টার ফর স্টাডিজ ইন সোশ্যাল সায়েন্স-এর অধ্যাপিকা। অন্যদিকে, দীপক বন্দ্যোপাধ্যায় প্রেসিডেন্সি কলেজের অর্থনীতি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ছিলেন।
Be the first to comment