নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল ‘বাঙালি বিরোধী’; সরব ডেরেক ও’ব্রায়েন

Spread the love

বুধবার রাজ্যসভায় পেশ করা হল নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল ২০১৯। লোকসভায় গত সোমবারই পাস হয়েছে এই বিল। এদিন বিলটি পেশ করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। বিল নিয়ে আলোচনার শুরুতেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, পাকিস্তান ও বাংলাদেশে বর্তমানে প্রায় ২০ শতাংশ ধর্মীয় সংখ্যালঘুর হার কমেছে। হতে পারে তারা নিহত বা ভারতে এসে আশ্রয় নিয়েছেন। এদেশে আশ্রয় নেওয়া মানুষদের অবস্থা ভয়াবহ। ক্যাবের ফলে এই ধরনের লক্ষাধিক মানুষের সুবিধা হবে। তাঁর আশ্বাস, এই বিলের ফলে ভারতীয় মুসলমানদের শঙ্কার কোনও কারণ নেই।

আর এরপরই নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের বিরোধীতায় রাজ্যসভায় সরব হন তৃণমূল কংগ্রেসের ডেরেক ও’ব্রায়েন। ক্যাবকে ‘বাঙালি ও সংবিধান বিরোধী’ বলে মন্তব্য করেন তিনি। পশ্চিমবঙ্গ সহ গোটা দেশে ক্যাব ও এনআরসি লাগু করতে দেওয়া হবে না বলে জানান তিনি। জেডিইউ, বিজেডি ক্যাবের সপক্ষে লোকসভায় ভোট দিয়েছে। রাজ্যসভায় তাদের অবস্থান স্পষ্ট করতে বলেন তৃণমূল সাংসদ।

শুনুন!

রাজ্যসভায় কংগ্রেস সাংসদ আনন্দ শর্মা বলেন, ‘এই বিল দেশের সংবিধানের ভিত্তির উপর আঘত। যে বিল আপনারা পেশ করেছেন তা ভারতীয় প্রজাতন্ত্রের উপর আক্রমণ। বিল সংবিধান ও গণতন্ত্র বিরোধী। নৈতিকতার বিচারে এই বিল মেনে নেওয়া যায় না।’

এখন প্রশ্ন একটাই। তবে কি রাজ্যসভায় কী এই বিলের পক্ষে প্রয়োজনীয় বিধায়কের সমর্থন মিলবে? রাজ্যসভায় ক্যাব পাস করানো শাসক বিজেপির কাছে সম্মানের লড়াই। এবার সেই লড়াইতে সম্মানের সঙ্গে উত্তীর্ণ হওয়া যাবে বলে মনে করছেন মোদী-শাহ জুটি। এদিকে, এদিন সকালেই বিজেপির সংসদীয় দলের বৈঠকে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। সেখানেই তিনি বলেন, এই বিল যুগান্তকারী পদক্ষেপ। যা দেশের ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। ক্যাব নিয়ে ‘বিরোধীরা পাকিস্তানের সুরে কথা বলছে’ বলেও তোপ দাগেন প্রধানমন্ত্রী।

রাজ্যসভার মোট আসন ২৪৫ হলেও বর্তমানে সাংসদ রয়েছেন ২৪০ জন। ক্যাব পাসে সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য প্রয়োজন ১২১টি ভোট। রাজ্যসভায় বিজেপির সাংসদ-সংখ্যা ৮৩। এনডিও ও অন্যান্য দলের সমর্থন মিলিয়ে এই বিলের পক্ষে সাংসদ আছেন ১২৮ জনের সমর্থন রয়েচে বলে জানা গিয়েছে। যা সংখ্যাগরিষ্ঠতা থেকে মাত্র সাত জন বেশি। অন্যদিকে, বিরোধীদের পক্ষে রয়েছে ১০৯টি ভোট। সংখ্যার বিচারে খুব একটা স্বস্তির না হলেও রাজ্যসভায় নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল ২০১৯ পাস অসম্ভব নয় বলে মনে করছে গেরুয়া শিবির।

এদিন সকালে রাহুল গান্ধী টুইটে ক্যাবের বিরুদ্ধে সরব হন। টুইটে তিনি জানিয়েছেন, ‘এই বিল উত্তর পূর্বাঞ্চলকে জাতিগত ভাবে বিশুদ্ধ করার চেষ্টা। উত্তর পূর্বাঞ্চলের উপর অপরাধমূলক আক্রমণ। উত্তর-পূর্বাঞ্চলের মানুষের পাশেই রয়েছি।’


Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*