দিঘায় শিল্প সম্মেলন থেকে রাজ্যে বিনিয়োগের আহ্বান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের৷ তাঁর সেই আহ্বানে সাড়া দিলেন শিল্পপতিরা৷ জানালেন দিঘায় তৈরি হবে চার ও পাঁচতারা হোটেল৷ এ থেকে পরিস্কার যে, আগামীদিনে আরও বেশি বিদেশি পর্যটক আসবে দিঘায়৷
বছরের শুরুতেই দিঘায় গিয়ে আন্তর্জাতিক মানের কনভেনশন সেন্টারের উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ আরও একগুচ্ছ পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে৷ বলা যায় পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে দিঘাকে আন্তর্জাতিক দরবারে নিয়ে যেতে চান মুখ্যমন্ত্রী৷ এবার দিঘার মান উন্নয়নে এগিয়ে আসলেন শিল্পপতিরা৷ দিঘায় পাঁচতারা হোটেল তৈরির ঘোষণা করলেন শিল্পপতি হর্ষ নেওটিয়া৷ পাশাপাশি হায়াতের মতো আন্তর্জাতিক সংস্থাও দিঘায় চারতালা হোটেল নির্মাণ করবে৷ সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই ওই শিল্পপতিরা দিঘায় হোটেল তৈরির জন্য জমি নিলামের মাধ্যমে পেয়ে গিয়েছেন৷
বুধবার দিঘায় শিল্প সম্মেলনের সূচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ শিল্প সম্মেলনের উদ্বোধনের পরই মুখ্যমন্ত্রী আরও একবার রাজ্যে বিনিয়োগের আহ্বান জানালেন শিল্পপতিদের৷ মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বিনিয়োগের সেরা ঠিকানা এখন পশ্চিমবঙ্গ৷ এদেশ তো বটেই বিদেশি শিল্পপতিরাও এখন বাংলায় বিনোয়োগে আগ্রহী৷ শিল্প গড়ার সব পরিবেশ বাংলায় মজুত বলে মন্তব্য করেন মুখ্যমন্ত্রী৷
এদিন আরও একবার শিল্প সওয়াল মমতার৷ বক্তৃতায় আগাগোড়া বিনিয়োগ টানার চেষ্টা৷ কখনও দেশের দারিদ্র্যতার হারের পরিসংখ্যান ও রাজ্যের ক্ষেত্রে এই পরিসংখ্যান তুলে ধরেছেন৷ কখনও আবার বেকারত্বের হার রাজ্যে ৪০ শতাংশ কমেছে বলে দাবি করেছেন৷ রাজ্যের একাধিক প্রকল্পের সুফলের জেরেই বাংলায় কমেছে দারিদ্র্যতা৷ সামাজিক সুরক্ষায় রাজ্য সরকারের একাধিক প্রকল্প রয়েছে৷ সেই প্রকল্প থেকে পাওয়া পরিষেবার জেরেই রাজ্যে ৬ শতাংশ দারিদ্র্যতা কমেছে বলে দাবি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের৷ এরাজ্যে বিনিয়োগ টানতে মমতা আরও বলেন, ‘রাজ্য সরকারের নিজস্ব ল্যান্ডব্যাঙ্ক রয়েছে৷ শিল্পপতিদের ল্যান্ডব্যাঙ্ক থেকে জমি দেবে রাজ্য সরকার৷ শিল্প তৈরিতে রাজ্যের একজানলা নীতিরও সুফল পাবেন শিল্পপতিরা৷’
গত ৮ বছরে খোলনলচে বদলেছে দিঘা৷ সেখানকার সমুদ্র সৈকতের পাশাপাশি গোটা শহর ঢেলে সাজিয়েছে রাজ্য সরকার৷ দেশের শিল্পপতিদের পাশাপাশি বিদেশি শিল্পপতিদের কাছেও দিঘা বিনিয়োগের অন্যতম পছন্দের ক্ষেত্র হয়ে উঠছে বলে সওয়াল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের৷ দিঘায় পর্যটন কেন্দ্রে আরও বিনিয়োগের সুযোগ আছে বলে এদিন মন্তব্য করেন মুখ্যমন্ত্রী৷
এদিন আরও একবার বাংলার সম্প্রীতির পরিবেশ নিয়ে মুখ খোলেন মুখ্যমন্ত্রী৷ তাঁর কথায়, ‘বছরের পর বছর ধরে বাংলায় সম্প্রীতির সুষ্ঠু পরিবেশ৷ গোটা বাংলা জুড়ে বিভিন্ন ধর্ম-বর্ণের মানুষের বাস৷ বাংলায় কোনও বিভেদ নেই৷ বাংলায় শিল্প গড়লে সাম্প্রদায়িক এই মেলবন্ধনের লাভ পাবেন শিল্পপতিরাও৷’
Be the first to comment