বিজেপি নেতা মুকুল রায়কে নিম্ন আদালতে কণ্ঠস্বর নমুনা দেওয়ার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট ৷ বড়বাজার থেকে হিসাব বহির্ভূত অর্থ সংক্রান্ত মামলায় বিচারপতি রাজা শেখর মন্থা এই নির্দেশ দেন ৷ মুকুলকে ১০ জানুয়ারি এই নমুনা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন ৷ তবে, বিচারপতির নির্দেশ, এই নমুনা বন্ধ খামে আদালতের হেপাজতে রাখতে হবে ৷ বিচারপতির নির্দেশ ছাড়া তা খোলা যাবে না ৷ অন্য কোনও তদন্তের কাজেও ব্যবহারও করা যাবে না ৷
২০১৮ সালের ৩১ জুলাই বড়বাজার থানায় ৯০ লাখ টাকা নেওয়ার অভিযোগে গ্রেপ্তার হন কল্যাণ রায় বর্মণ নামে এক ব্যক্তি । তিনি ছিলেন একজন রেলের কর্মচারী । ঘটনায় আরও এক ব্যক্তিকে পরে গ্রেপ্তার করে পুলিশ । তাদের সঙ্গে মুকুল রায়ের যোগ রয়েছে এই অভিযোগে ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে তাঁকে ভয়েস টেস্টের জন্য ডাকে কলকাতা পুলিশের তদন্তকারীরা । এরপর আবার ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে তদন্তকারী আধিকারিকরা কলকাতা ব্যাঙ্কশাল কোর্টে অভিযোগ দায়ের করেন । এর বিরুদ্ধে দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন মুকুল রায় । তিনি জানান, বর্তমানে তিনি দিল্লির বাসিন্দা । তাই তাঁকে যদি কিছু জিজ্ঞাসাবাদ করতে হয়, তাহলে তাঁর দিল্লির বাড়িতে গিয়েই করতে হবে ৷ এরপর ব্যাঙ্কশাল কোর্ট তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে । যদিও হাইকোর্ট গত ৭ অগাস্ট সেই নির্দেশ খারিজ করে দেয় ।
এই মামলাতেই আজ বিচারপতি রাজা শেখর মন্থা কণ্ঠস্বর নমুনা দেওয়ার নির্দেশ দেন । পাশাপাশি মামলাটি তিনি ডিভিশন বেঞ্চে পাঠিয়েছেন পুনর্বিবেচনার নির্দেশ দিয়ে । কারণ বিচারপতির মতে, মুকুল রায় এই মামলায় একজন সাক্ষী হলেও অনেকগুলো আইন সংক্রান্ত বিষয় জড়িত । এই আইন সংক্রান্ত বিষয়গুলি বিবেচনার জন্যই ডিভিশন বেঞ্চে মামলাটি পাঠান তিনি ।
আজ মামলাটি বিচারপতি রাজা শেখর মন্থা সিঙ্গল বেঞ্চে শুনানির জন্য উঠলে মুকুল রায়ের আইনজীবী শুভাশিস দাশগুপ্ত বলেন, “আমার মক্কেল এই মামলায় একজন সাক্ষী । তাঁকে কী করে নিজের বিরুদ্ধেই সাক্ষী দিতে বাধ্য করা হয় ?” এর বিরুদ্ধে রাজ্যের তরফে সরকারি কৌঁসুলি শাশ্বত গোপাল মুখোপাধ্যায় বলেন,”আমরা তদন্তের স্বার্থেই ওঁর কন্ঠস্বর নমুনা নিতে চাইছি । এখানে অন্য কোনও উদ্দেশ্য নেই ।” তবে মামলার শেষে আইনজীবী শুভাশিস দাশগুপ্ত বলেন, “ইতিমধ্যে ডিভিশন বেঞ্চে যদি এই মামলার শুনানি হয় এবং সেখানে যদি অন্য কোনও নির্দেশ দেয়, তাহলে মুকুল রায়কে কণ্ঠস্বর নমুনা নাও দিতে হতে পারে ।”
Be the first to comment