নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের প্রতিবাদে জরুরি বৈঠকের ডাক দিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এনআরসি ইস্যু থেকে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল কোনটাই তিনি সমর্থন জানাবেন না তা প্রথম থেকেই স্পষ্ট করেছেন। লোকসভা ও রাজ্যসভায় এই বিল পাস হলে অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে উত্তর-পূর্বাঞ্চল থেকে দেশের একাধিক অংশ।
তৃণমূল সুপ্রিমো আগামী ২০ ডিসেম্বর বিকেল সাড়ে চারটে নাগাদ এই জরুরি বৈঠকের ডাক দিয়েছেন। দলের জেলাস্তরের নেতৃত্ব থেকে সাংসদ এবং বিধায়ক সকলকেই এই বৈঠকে উপস্থিত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠেছে অসম। জারি হয়েছে কার্ফু। সেনা টহল চলছে গুয়াহাটির রাজপথে-সড়কে। সরকারি ঘোষণা অনুসারে বন্ধ ইন্টারনেট পরিষেবা। এদিকে সেনা টহলের কারণে অঘোষিত বনধের ছবি গোটা রাজ্য জুড়েই, বিশেষ করে গুয়াহাটি শহরে।
সূত্রের খবর, ত্রিপুরা, অসমের পর এবার অরুণাচল প্রদেশেও ইন্টারনেট পরিষেবা সাময়িক স্থগিত করার পথে সরকার। তবে এই বিষয়ে সরকারিভাবে কিছু বলা হয়নি এখনও।
নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল পাস ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে উত্তর পূর্বাঞ্চল ভারত। এই বিলে ভারতের নাগরিক হিসেবে মেনে নেওয়া হয়েছে প্রতিবেশী পাকিস্তান, বাংলাদেশ, আফগানিস্তান থেকে আসা সংখ্যালঘুদের। বিরোধীদের অভিযোগ, এই বিল আদতে দেশের সংখ্যালঘুদের জন্য অবিচার, ধর্মের ভিত্তিতে ভারতের নাগরিকতা প্রদান সংবিধানের বিরোধিতা।
তবে লোকসভা ও রাজ্যসভায় এই বিল পাস করিয়ে নেয় বিজেপি। আর বিল উত্থাপন ও ভোটাভুটি প্রক্রিয়ার মাঝেই অশান্ত হয়ে যায় উত্তর পূর্ব ভারত। বিশেষ করে অসম ও ত্রিপুরা। উত্তর পূর্বের উপজাতি সংগঠনের যৌথ মঞ্চ নেসো (নর্থ ইস্ট স্টুডেন্ট অর্গানাইজেশন) দাবি, বিলটি আইনে রূপান্তরিত হলে স্থানীয় উপজাতিদের চরম দুর্ভোগে পড়তে হবে।
Be the first to comment