গড়িয়াহাটে বৃদ্ধা খুনের কিনারা করলো পুলিশ। ওই বৃদ্ধাকে তার বড় বউমা এবং নাতনি খুন করেছে বলে দাবি করেছে পুলিশ। দু’জনকেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে কী কারণে খুন, তা জানতে অভিযুক্তদের জেরা চলছে। নাতনির নাম কণিকা জুন্ড এবং বউমার নাম ডিম্পল জুন্ড। এছাড়া এই ঘটনায় আরও এক ব্যক্তি জড়িত বলে সন্দেহ করছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১১ টা নাগাদ ২ বি গড়চা ফার্স্ট লেনের বাসিন্দা উর্মিলা কুমারীকে গলাকাটা অবস্থায় নিজের ঘরে বিছানায় পড়ে থাকতে দেখেন বাড়ির পরিচারিকা ৷ বৃদ্ধার পেটেও আঘাত ছিল ৷ পরিচারিকা ডাকেন বৃদ্ধার প্রতিবেশী দেবলীনা দাসকে। তিনি খবর দেন গড়িয়াহাট থানায়।
ছোটো ছেলে এবং বউমার সঙ্গে ভাড়া বাড়িতে থাকতেন বৃদ্ধা। বড় ছেলে মারা গেছেন। তাঁর স্ত্রী এবং ছেলে-মেয়েরা থাকে রিচি রোডে। মেজো ছেলে পরিবার নিয়ে থাকেন শিলিগুড়িতে। উর্মিলাদেবীর পরিবারের অনেকে পঞ্জাবে থাকেন। তাই তিনি মাঝেমধ্যেই পঞ্জাবে গিয়ে থাকতেন। মাসখানেক আগেই তিনি পঞ্জাব থেকে ফিরেছিলেন। বুধবার ছোটো ছেলে পরিবার নিয়ে শিলিগুড়িতে যান। ১১ ডিসেম্বর থেকে ওই বৃদ্ধা গড়চার বাড়িতে একাই ছিলেন।
বৃদ্ধার দেহ যে ঘরে পাওয়া যায় সেটি লন্ডভন্ড অবস্থায় ছিল। আলমারি থেকে জামা-কাপড় সব টেনে বের করে খাটে রাখা হয়েছিল। যা দেখে প্রাথমিকভাবে মনে হতেই পারে লুটের উদ্দেশ্যে এই খুন। তবে কড়েয়ায় সম্প্রতি বৃদ্ধ খুনের মতোই এক্ষেত্রে তদন্তকারীদের চোখে ধুলো দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল বলে প্রথম থেকে মনে করছিল পুলিশ। কারণ বৃদ্ধার গায়ের কোনও গয়না খোয়া যায়নি। আলমারিতে ছিল ২০০ টাকার নোটের একটি বান্ডিল। আততায়ীরা সেটাও নেয়নি। খুনের প্রকৃতি থেকে বোঝা যায় প্রবল আক্রোশে খুন করা হয় ওই বৃদ্ধাকে।
ময়নাতদন্তে জানা যায়, খুনের সময় রাত ১২টা ৩০ মিনিট থেকে ২টা ৩০ মিনিটের মধ্যে। ওই চত্বরের সব CCTV ফুটেজ খতিয়ে দেখে পুলিশ আজ বৃদ্ধার বড় বউমা এবং নাতনিকে গ্রেপ্তার করা হয়। ১১ তারিখ রাতে বৃদ্ধার ওই নাতনি তাঁকে খাবার দিতে এসেছিলেন বলে জানায় প্রতিবেশীরা। সেসময় নাতনি দেবলীনা দাসের পরিবারের এক সদস্যর সঙ্গে কথাও বলেছিলেন।
Be the first to comment