নাগরিকত্ব (সংশোধনী) আইন, ২০১৯- এর প্রতিবাদে দেশের বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ অব্যাহত ৷ বিক্ষোভ চলছে দিল্লিতেও ৷ দিল্লির জামা মসজিদ চৌকির সামনে আজ বিক্ষোভ দেখানো হয় ৷ কংগ্রেস নেত্রী অলকা লাম্বা, মুদিত আগরওয়াল এবং শোয়েব ইকবালের নেতৃত্বে বিক্ষোভ হয় ৷ জামা মসজিদ চত্বরে আইনটি প্রত্যাহারের দাবিতে কয়েকশো মানুষ জড়ো হয় ৷ তারা কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে স্লোগান দেয়। বিক্ষোভ চলাকালীন জামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ বাধে ৷ পড়ুয়াদের বিক্ষোভ নিয়ন্ত্রণে কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটানো ও লাঠিচার্জের অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে ৷ সংঘর্ষের সময় বেশ কয়েকজন পুলিশকর্মী আহত হয়েছেন । তাঁদের মধ্যে কয়েকজনকে স্থানীয় হাসপাতালের ICU-তে ভর্তি করা হয়েছে ৷
অলকা লাম্বা বলেন, “বিলটি আগে ৯ বার সংশোধন করা হয়েছিল ৷ কিন্তু কোনওবার ধর্মের ভিত্তিতে সংশোধন করা হয়নি ৷ এবার সেটা হয়েছে । আমাদের প্রথমে মনে হয়েছিল এই বিলটি হয়তো শুধুমাত্র অসম এবং উত্তর-পূর্ব ভারতের জন্য ৷ কিন্তু যখন এই বিল পাশ হল তখন জানলাম এই আইন সারা দেশের জন্য ৷ “
মুদিত আগরওয়াল বলেন, “আমাদের দেশ কোনও নির্দিষ্ট ধর্মের মানুষের জন্য নয় ৷ ১৯৪৭ সালে যখন ভারত স্বাধীন হল তখন এইরকম বিভাজন তৈরি করার চেষ্টা করা হয়েছিল ৷ কিন্তু সেই সময় জওহরলাল নেহরু, বি আর আম্বেদকর, মৌলনা আজাদ, মহাত্মা গান্ধির মতো নেতাদের বিরোধিতার জন্যই তা সম্ভব হয়নি ৷ তাঁরা বিষয়টির তীব্র বিরোধিতা করেছিলেন ৷ তাঁরাই বলেছিলেন, এই দেশ সব ধর্মের মানুষের জন্য ৷ অন্য ধর্মের মানুষকে দেশ ছেড়ে চলে যেতে হবে না ৷ কিন্তু বর্তমান কেন্দ্রীয় সরকার দেশকে শুধুমাত্র একটি ধর্মের মানুষের জন্যই বানিয়ে রাখতে চায় ৷”
Be the first to comment