উত্তপ্ত অসম। নাগরিকত্ব (সংশোধনী) আইন, ২০১৯-এর প্রতিবাদে চলছে বিক্ষোভ। জারি রয়েছে কারফিউ। বিক্ষোভ চলছে ত্রিপুরা, মেঘালয়, পশ্চিমবঙ্গে। এই পরিস্থিতিতে শিলং ও অরুণাচল প্রদেশ সফর বাতিল করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। রবিবার শিলংয়ে উত্তর-পূর্ব পুলিশ অ্যাকাডেমিতে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার কথা ছিল তাঁর। এর বদলে আগামীকাল ঝাড়খণ্ড যাচ্ছেন তিনি। সেখানে নির্বাচনী প্রচারে যোগ দেবেন ।
বিক্ষোভ চরম আকার নিয়েছে মেঘালয়ে। দু’দিনের জন্য ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রয়েছে। শিলংয়ের একাধিক জায়গায় জারি রয়েছে কারফিউ। বিক্ষোভ চলাকালীন শিলংয়ে দু’টি গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয় বিক্ষুব্ধ জনতা। বনধের জেরে শিলংয়ের পুলিশ বাজার এলাকায় সমস্ত দোকানপাট বন্ধ। শহরের রাস্তায় টর্চ র্যালি করে ক্ষুব্ধ জনতা। শিলং থেকে ২৫০ কিলোমিটার দূরে উইলিয়ামনগরে মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমাকে ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয়রা। মেঘালয় পুলিশ টুইটবার্তায় বাসিন্দাদের শান্তি বজায় রাখার আবেদন জানিয়েছেন। পাশাপাশি বলা হয়েছে, কেউ যেন কোনও গুজব না ছড়ায়।
সোমবার লোকসভায় নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল, ২০১৯ পাশ হওয়ার পর থেকেই অসম ও ত্রিপুরা সহ উত্তর-পূর্ব ভারতের অন্য রাজ্যগুলিতে প্রতিবাদ-বিক্ষোভ শুরু হয়। বুধবার রাতে রাজ্যসভাতেও বিলটি পাশ হয়। কারফিউ জারি করা হয় গুয়াহাটি ও ডিব্রুগড়ে। অসমের ১০টি জেলায় ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়েছে । নামানো হয়েছে আধা-সেনা। বিক্ষোভ আন্দোলনে প্রধান ভূমিকা নিয়েছে গুয়াহাটির কটন বিশ্ববিদ্যালয়, গুয়াহাটি বিশ্ববিদ্যালয়, তেজপুর কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সংগঠনের পড়ুয়ারা। রাজ্যে বন্ধ রাখা হয়েছে ট্রেন চলাচল। বিমান পরিষেবাও বন্ধ। বিক্ষোভ নিয়ন্ত্রণে ডিব্রুগড়,গুয়াহাটি, জোরহাট, তিনসুকিয়া সহ একাধিক এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার কারফিউ উপেক্ষা করে রুক্মিণীগাঁও ও হাতিগাঁওতে মিছিল করে বিক্ষোভকারীরা। পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। শেষ পর্যন্ত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গুলি চালায় পুলিশ। গুলিতে মৃত্যু হয় দু’জনের।
Be the first to comment