রাজ্যের পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার জন্য মুখ্যমন্ত্রীকে রাজভবনে দেখা করার জন্য বার্তা পাঠিয়েছেন রাজ্যপাল ৷ এ প্রসঙ্গে একটি টুইট করে রাজ্যপাল জানান, আজকের বৈঠক নিয়ে তিনি আশাবাদী ৷ তাঁদের এই বৈঠক মুখ্যমন্ত্রীর সমস্ত উদ্বেগের সমাধান করবে ৷ জানা যাবে তিনি বিষয়টিকে কীভাবে দেখছেন ৷ রাজ্যপাল বলেন, আমাদের স্তরে আলোচনা আবশ্যিক, কারণ এটাই হল সংবিধানের অন্তর্নিহিত সারাংশ যা আমরা অনুসরণ করি ৷ যদিও রাজ্যপালের ভূমিকা নিয়ে সোমবারই টুইট করে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ তাঁর বক্তব্য, শান্তিরক্ষায় সহযোগিতা করছেন না রাজ্যপাল ৷
পাশাপাশি নিজের টুইটার হ্যান্ডেলে শান্তি বজায় রাখার আবেদন জানান রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় ৷ তিনি লেখেন, যাঁরা ভারতের নাগরিক তাঁদের উপর নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের কোনও প্রভাব পড়বে না ৷ কাউকে এই আইন নিয়ে উদ্বিগ্ন হতে হবে না ৷
এছাড়াও সাংসদ সৌগত রায়কে উদ্ধৃত করে রাজ্যপালের টুইট, মুখ্যমন্ত্রী ও তৃণমূলের প্রধান এই দুই ভূমিকা পালন করছে মমতা ৷ তিনি নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরোধিতা করছেন তৃণমূল নেত্রী হিসেবে ৷ মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে নয় ৷ কিন্তু তিনি এ কথায় সহমত নন ৷
প্রসঙ্গত, নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন ঘিরে গত দু-তিনদিন ধরে ক্রমেই উত্তপ্ত হয়েছে রাজ্য রাজনীতি ৷ দফায় দফায় রেল অবরোধ, পথ অবরোধের জেরে জেরবার জনজীবন ৷ এরই মধ্যে রাজ্যের এই পরিস্থিতি নিয়ে রাজ্যপাল ও মুখ্যমন্ত্রীর সংঘাতও অব্যাহত ৷ চিঠি পালটা চিঠি ৷ টুইটে ক্ষোভ প্রকাশ ৷ সোমবার মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, রাজ্যপালের ভূমিকায় তিনি মর্মাহত ৷ রাজ্য সরকারকে সাহায্য করা উচিত ছিল রাজভবনের ৷ এহেন পরিস্থিতিতে আজ মুখ্যমন্ত্রী রাজভবনে যাবেন কি না, গেলেও তাঁদের আলোচনা কত দূর ফলপ্রসূ হয়, সেটাই এখন বাংলার রাজনীতির সবচেয়ে বড় প্রশ্ন ৷
Be the first to comment