উত্তর-পূর্ব দিল্লিতে জারি ১৪৪ ধারা ৷ নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের প্রতিবাদে গত দুই-তিন ধরেই উত্তপ্ত দিল্লি ৷ মঙ্গলবার পূর্ব দিল্লির সিলামপুরে একটি স্কুলবাসে ভাঙচুর চালানো হয় ৷ বিক্ষোভকারীরা আগুন লাগিয়ে দেয় পুলিশ ফাঁড়িতে ৷ অভিযোগ, পুলিশকে লক্ষ্য করে ছোড়া হয় ইট-পাথর ৷ পরিস্থিতি সমাল দিতে ফাটানো হয় কাঁদানে গ্যাসের শেল ৷ মঙ্গলবারের ঘটনায় জখম দুই পুলিশ কর্মী ৷ ঘটনায় এখনও পর্যন্ত মোট ৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৷ এরপর বুধবার জারি করা হয় কারফিউ ৷ কোড অফ ক্রিমিনাল প্রসিডিওর জারি রয়েছে ৷
দিল্লির এক পুলিশ আধিকারিক বলেন, মঙ্গলবার বেলা ১টা নাগাদ বিক্ষোভ শুরু হয়েছিল ৷ সেই সময় স্কুলবাসটি পড়ুয়াদের বাড়ি নিয়ে যাচ্ছিল ৷ অভিযোগ করেন, বিক্ষোভকারীরা স্কুলবাস সহ অন্যান্য বাসগুলিকেই বেছে নিয়েছিল ৷ প্রায় ২০০০ বিক্ষোভকারী ইট-পাথর ছোড়ে এবং গাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয় ৷ এমনকী, পুলিশকে লক্ষ্য করেও পাথর ছোড়ে ৷ ঘটনায় ২০ জন জখম হন, যার মধ্যে ১২ জন পুলিশ আধিকারিক রয়েছেন ৷
এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন বিরোধী শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ মুহূর্তের মধ্যে হাতের বাইরে বেরিয়ে যায় ৷ প্রত্যক্ষদর্শীদের অনেকের দাবি, বহিরাগতরা অশান্তির জন্য দায়ি ৷ বোতল ও ইট-পাথর হাতে প্রতিবাদে সামিল হয়েছিল বহিরাগতরা ৷
ঘটনার পর ঘণ্টা খানেক সিলামপুর এলাকা থমথমে ছিল ৷ স্থানীয় বাসিন্দারা শান্তির আবেদন জানান ৷ ঘটনাস্থান সংলগ্ন ৬টি মেট্রো স্টেশনে ট্রেন চলাচল কয়েক ঘণ্টার জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয় ৷ সন্ধ্যার দিকে ফের বিক্ষোভ হলে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে ৷
উল্লেখ্য, রবিবার নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে সরব হয় দিল্লির জামিয়া চত্বর। দক্ষিণ-পূর্ব দিল্লির জামিয়া রোডে পুলিশ-জনতার মধ্যে খণ্ডযুদ্ধ বাধে। ভাঙচুর চালানো হয় একাধিক বাসে। ঘটনায় জখম হন উভয়পক্ষের কয়েকজন। আঙুল ওঠে জামিয়া মিলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের দিকে। তবে, পড়ুয়ারা পালটা অভিযোগ করে, ঘটনায় বহিরাগতরা ছিল। তাঁদের কেউ এই কাজ করেননি। গতকাল সকালে জামিয়া মিলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভের ঘটনায় ১০ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ওই দশজনের মধ্যে কোনও ছাত্র-ছাত্রী নেই বলে জানা যায়।
পুলিশ সূত্রে খবর, ১০ জনের নামেই অপরাধের রেকর্ড রয়েছে। ধৃতরা বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন জামিয়া ও ওখলা এলাকার বাসিন্দা।
Be the first to comment