নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের প্রতিবাদে গোটা দেশজুড়ে বিক্ষোভ। একের পর এক রাজ্যে ছড়াচ্ছে বিক্ষোভের আগুন। অবস্থা এতটা ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছে যে একের পর এক রাজ্যে কার্যত কার্ফু জারি করতে হচ্ছে। দেশের এমন পরিস্থিতিতে অনেকেই ‘কাশ্মীরে’র সঙ্গে তুলনা করছেন। বিক্ষোভের আগুন অন্য রাজ্যে ভয়ঙ্কর হলেও, অপেক্ষাকৃত বাংলায় অনেকটাই ঠান্ডা পরিস্থিতি। নতুন করে যে কোনও মুহূর্তে ছড়াতে পারে উত্তেজনা। আর এই আশঙ্কায় বাংলায় এখনও পর্যন্ত ইন্টারনেট পরিষেবা স্বাভাবিক করা হয়নি। এর মধ্যে নদিয়াতে নতুন করে বন্ধ ইন্টারনেট পরিষেবা।
জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ছ’টা থেকে শুক্রবার সন্ধ্যা ছ’টা পর্যন্ত জেলাজুড়ে নেট বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলাশাসক বিভূ গোয়েল। এ দিকে, টানা চারদিন পরে বৃহস্পতিবার বিকেলে হাওড়ায় ইন্টারনেট চালু হয়েছিল। কিন্তু কয়েক ঘণ্টার মধ্যে তা বন্ধ করে দেওয়া হয়। ইন্টারনেট পরিষেবা এখনও বন্ধ রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা, মুর্শিদাবাদ, মালদহ ও উত্তর দিনাজপুরে৷ এমনটাই স্থানীয় সূত্রে খবর৷
কিন্তু হঠাত করে নদিয়াতে কেন ইন্টারনেট বন্ধ করা হল, তা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েই গিয়েছে। তবে জানা গিয়েছে, নদিয়াতে নতুন করে বেশ কিছু জায়গায় টায়ার পুড়িয়ে, বিক্ষোভ-অবরোধ দেখায় বেশ কয়েকজন বিক্ষোভকারী। সেখান থেকে পরিস্থিতি যাতে না কোনও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে সেজন্যে সেখানে তড়িঘড়ি ইন্টারনেট বন্ধ রাখা হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের প্রতিবাদে গত শুক্রবার অশান্ত হয়েছিল হাওড়ার উলুবেড়িয়া, মুর্শিদাবাদের বেলডাঙা। মালদহ, মুর্শিদাবাদ, উত্তর দিনাজপুরে বন্ধ করে দেওয়া হয় ইন্টারনেট পরিষেবা। শুধু তাই নয়, দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারাসাত মহকুমা, বসিরহাট মহকুমা, বারুইপুর ও ক্যানিং মহকুমাতেও বন্ধ করা হয় ইন্টারনেট।
Be the first to comment