নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে দেশজুড়ে বিক্ষোভ! উত্তাল বিহারও। শনিবার CAA-এর প্রতিবাদে বিহারে বনধ ! বনধের ডাক দিল আরজেডি। আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদবের ভাষায়, ”দেশ ভাঙতে দেব না!” প্রতিবাদে উত্তাল কর্নাটকের মেঙ্গালুরুও ৷ বৃহস্পতিবার দিনভর উত্তপ্ত ছিল সেখানকার পরিস্থিতি ৷ প্রতিবাদ বিক্ষোভে মুখর গোটা শহর ৷
অশান্তি এড়াতে সন্ধের দিকে কার্ফু জারি হয় ৷ যার ফলে কোনও বড় জমায়েত সম্ভব নয় ৷ ২০ ডিসেম্বর মধ্য রাত পর্যন্ত চলবে কার্ফু ৷ দিনেরবেলা প্রায় ১০০ জন বিক্ষোভকারী ডেপুটি কমিশনরের অফিসের সামনে জমায়েত করেন ৷ বিক্ষোভ হঠাতে গেলে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি শুরু হয় ৷ তাদের ওপর লাঠি চালায় পুলিশ, এমনই অভিযোগ উঠেছে ৷ যদিও পুলিশের দাবি, বিক্ষোভ ছত্রভঙ্গ করতেই ব্যবস্থা নিতে হয় তাদের এবং বেশ কিছু অবরোধকারী তাদের ওপর ইট ছোঁড়ে বলেও জানায় পুলিশ৷ পরিস্থিতি আয়ত্তে আনতে গুলিও করে পুলিশ ৷ দু’জন বিক্ষোভকারীর মৃত্যু হয় ৷ এরপরই পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে৷ ১৪৪ ধারা জারি করে প্রসাশন ৷
অন্যদিকে, ১১ ডিসেম্বরের পর ২০ ডিসেম্বর, ৯দিন পর অসমে স্বাভাবিক হল ইন্টারনেট পরিষেবা ৷ শুক্রবার সকালে সাংবাদিক সম্মেলন করে অসমের মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনওয়াল বলেন, ‘অসম এখন শান্ত ৷ অসমবাসীকে বিভ্রান্ত করা হয়েছে ৷ ভূমি, ভাষা, সংস্কৃতি সুরক্ষিত থাকবে ৷’ নাগরিকত্ব আইন নিয়ে তীব্র বিক্ষোভের জেরে অসমের বেশ কিছু জেলায় গত ১১ ডিসেম্বর থেকে বন্ধ করে দেওয়া হয় ইন্টারনেট পরিষেবা। ক্রমে গোটা অসমেই বন্ধ হয়। বৃহস্পতিবার এই ঘটনার ক্ষোভ প্রকাশ করে অবিলম্বে ইন্টারনেট পরিষেবা চালু করার নির্দেশ দেয় গুয়াহাটি হাইকোর্ট।
Be the first to comment