বড় ধাক্কা মোদী-শাহের, এনপিআর নিয়েও বেঁকে বসলো নীতীশও

Spread the love

আবারও অস্বস্তি বাড়ল কেন্দ্রের। এবার এনপিআর নিয়ে বেঁকে বসল নীতিশ কুমারের দল জেডিইউ। বিহারেও আপাতত এনপিআর করা হবে না বলে জানানো হয়েছে জেডিইউয়ের তরফে। জেডিইউ সূত্রে খবর, এনপিআর নিয়ে সাধারণ মানুষের মনে এখনও বিভ্রান্তি রয়েছে। সেই বিভ্রান্তি না কাটার ফলেই এখনই বিহারে এনপিআর না কার্যকর করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

নীতিশ কুমারের দলের দাবি, কেন্দ্রীয় সরকার এনপিআর নিয়ে স্পষ্ট কোনও বার্তা না দিলে বিহারে এনপিআরের কাজ শুরু করা হবে না। যদিও দিনকয়েক আগেই সংবাদসংস্থা এএনআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ জানান, এনআরসির সঙ্গে এনপিআরের কোনও মিল নেই। যদিও শাহের সেই দাবিতে আমল দিতে নারাজ বিরোধীরা। একইভাবে জেডিইউ-ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কথা ভরসা করতে রাজি নয়। আর তাই এনপিআর নিয়ে ধোঁয়াশা পুরোপুরি না কাটা পর্যন্ত নীতিশ কুমারের রাজ্যে তা এখনই কার্যকর করা হবে না বলে জানিয়েছে বিহারের শাসকদল।

এপ্রসঙ্গে জেডিইউ মুখপাত্র কে সি ত্যাগী বলেন, ‘স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এক কথা বলছেন। তারও আগে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সংসদে বললেন এনপিআর হল এনআরসির প্রথম ধাপ। ফলে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে। এনপিআর নিয়ে দ্বন্দ্ব ও সব আশঙ্কা দূর হওয়া প্রয়োজন। এনপিআরের উদ্দেশ্য কী তা বিশদে জানতে চায় জেডিইউ৷’ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নিজে এনপিআর ও এনআরসি নিয়ে কেন্দ্রের অবস্থান স্পষ্ট না করা পর্যন্ত বিহারে তা লাগু করার প্রশ্নই নেই বলে জানিয়ছেন ত্যাগী।

এদিকে, পশ্চিমবঙ্গ ও কেরল আগেই জানিয়েছে যে এই দুই রাজ্যে এখনই এনপিআর নিয়ে কাজ শুরু করা হবে না। পশ্চিমবঙ্গে স্বরাষ্ট্র দফতরের তরফে নির্দেশিকা জারি করে এনপিআরের কাজ আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে। একইভাবে কেরল সরকারও এনপিআর নিয়ে তাঁদের আপত্তির কথা জানিয়েছে। এমনিতেই নাগরিকত্ব আইন ও এনআরসি নিয়ে ল্যাজেগোবরে কেন্দ্রীয় সরকার।

বিজেপি বিরোধী প্রায় সব দলই এই দুই আিন নিয়ে কেন্দ্র-বিরোধিতায় সরব হয়েছে। এমনকী এনডিএ-র শরিক দল জেডিইউও সাফ জানিয়েছে, বিহারে এনআরসি লাগু করা হবে না। এনআরসি নিয়ে দলের অন্দরেই প্রবল বিরোধিতাই নীতিশ কুমারকে এই অবস্থান নিতে বাধ্য করেছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

এদিকে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের পক্ষে থাকায় নীতীশ কুমারের দলের অন্দরেই চাপা ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। সিএএ সমর্থন নিয়ে নীতীশ কুমারের সমালোচনায় সরব হয়েছেন জেডিইউ সহ সভাপতি তথা ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোর।

আগামী বছরই বিহারে বিধানসভা ভোট। জেডিইউকে ব্যাকফুটে ফেলতে এখন থেকেই সুর চড়াচ্ছে কংগ্রেস, আরজেডি-সহ বিহারের বিরোধী দলগুলি। বিজেপির সঙ্গে জেডিইউকেও একই আসনে বসিয়ে এখন থেকেই প্রচার আরও তীব্র করার ভাবনা বিরোধীদের।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*