নিরাপত্তা বাহিনী রাজনীতি থেকে অনেকটাই দূরে থাকে। চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ পদের দায়িত্ব নিয়েই এই বার্তা দিলেন বিপিন রাওয়াত। সেনা প্রধান থাকালীন তাঁর মন্তব্য ঘিরে বিতর্ক দানা বাঁধে। কংগ্রেসের অভিযোগ ছিল, নতুন দায়িত্ব পেতেই রাওয়াত রাজনীতিকদের সুরে কথা বলছেন। সেই অভিযোগ খণ্ডন করতেই সিডিএসের এদিনের মন্তব্য বলে মনে করা হচ্ছে।
গতকাল সেনাপ্রধানের দায়িত্ব থেকে অব্যহতির পর বুধবারই চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ হিসাবে দায়িত্ব নিয়েছেন বিপিন রাওয়াত। এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘আমরা (নিরাপত্তা বাহিনী) রাজনীতি থেকে দূরে থাকি, অনেকটাই দূরে। সরকারের নির্দেশ অনুশারে আমরা দায়িত্ব পালন করি।’
সিএএ বিরোধী আন্দোলনে উত্তাল দেশ। উত্তর পূর্বে থেকে উত্তরপ্রদেশ হিংসাত্মক আন্দোলন হয়। বাংলাতেও ট্রেন, বাসে আগুন জ্বালানো হয়। প্রতিবাদে মুখর হয় কর্নাটক। উত্তরপ্রদেশেই ১৯ জন প্রতিবাদী প্রাণ হারিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী, স্বারাষ্ট্রমন্ত্রীর অভিযোগ বিরোধী দলের নেতৃত্ব নয়া আইন নিয়ে মানুষকে ভুল বুঝিয়ে বিভ্রান্ত করছে। গত সপ্তাহেই বিপিন রাওয়াত বলেছিলেন, ‘নেতৃত্ব এমন হওয়া উচিত নয়, মানুষকে বিপথে চালিত করে অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুরের মতো ঘটনা ঘটে।’ তাঁর এই মন্তব্য ‘রাজনৈতিক’ বলে সোচ্চার হয় কংগ্রেস। সোমবার জানা যায়, রাওয়াতই দেশের প্রথম সিডিএস হচ্ছেন। এরপরই তাঁর নিয়োগ ও মন্তব্য ঘিরে প্রশ্ন তোলে কংগ্রেস।
এদিন দায়িত্ব নিয়ে সিডিএস জানিয়েছেন, ‘সেনাবাহিনী, বায়ু সেনা ও নৌ বাহিনী একটা দল হিসাবে দেশের নিরাপত্তার দায়িত্বে সামলাচ্ছে। এই দলের উপর সিডিএসের নিয়ন্ত্রণ থাকলেও আলোচনার ভিত্তিতেই সব সিদ্ধান্ত হবে।’
মঙ্গলবারই দেশের সেনাপ্রধান হয়েছেন মুকুন্দ নারভানে। তাঁর হুঁশিয়ারি, ‘পাকিস্তান ও চিনের থেকে আসা যেকোন চ্যালেঞ্জকে মোকাবিলায় প্রস্তুত রয়েছে ভারতীয় সেনাবাহিনী।’ নারাভানের দাবিকে সমর্থন করেছেন সিডিএস রাওয়াত।
Be the first to comment