পৌষমেলা চলাকালীন একাধিক অনিয়মের অভিযোগে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে শোকজ করল রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ। মেলা চলাকালীন দু’দিন শান্তিনিকেতনের পৌষমেলা চত্বর ঘুরে দেখেন পর্ষদের প্রনিতিধিরা। সেই সময়ই একাধিক অনিয়ম চোখে পড়ে দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের প্রতিনিধিদের। মেলা চলাকালীন এবার একাধিক পরিবেশ বিধি মানা হয়নি বলে অভিযোগ পর্ষদের। এরই পাশাপাশি নিয়ম না মানার জন্য বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষকে ১০ লক্ষ টাকা জরিমানাও করা হয়েছে।
এবার শান্তিনিকতেন পৌষমেলা চলাকালীন মেলা চত্বর ঘুরে দেখেন দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের প্রতিনিধিরা। মেলা চত্বর ঘুরে দেখে একাধিক অনিয়ম চেখে পড়ে তাঁদের। একটি রিপোর্টে তাঁরা জানিয়েছেন, পৌষমেলা প্রাঙ্গনে পরিবেশ বিধি মানা হয়নি। মেলার খোলা মাঠে উনুন জ্বালিয়ে রান্না হয়েছে। এমনকী মেলার মাঠে পর্যাপ্ত সংখ্যায় শৌচালয়েরও ব্যবস্থা করা হয়নি। শৌচাগারগুলিতে পর্যাপ্ত পরিমাণে জলেরও ব্যবস্থা ছিল না। যার ফলে মেলায় আসা বহু মানুষকেই অসুবিধায় পড়তে হয়েছে। একইসঙ্গে মেলার মাঠে মহিলাদের জন্য থাকা শৌচালয়ের হাল অত্যন্ত খারাপ ছিল বলে জানিয়েছেন পর্ষদের প্রতিনিধিরা।
মেলার অনুমতি দেওয়ার সময় মেলা সংক্রান্ত সব গাইডলাইন দেওয়া হয়েছিল বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে। তা সত্ত্বেও পরিবেশ বিধিকে বুড়ো আঙুল দেখিয়েই এবারের পৌষমেলা চলেছে বলে অভিযোগ দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের। প্রতিবারই শান্তিনিকেতনের পৌষমেলায় পর্যটকদের ঢল নামে। বীরভূম তো বটেই এছাড়া রাজ্যের অন্য জেলা থেকেও বহু মানুষ ভিড় জমান শান্তিনিকেতনে। এমনকী বহু বিদেশিও পৌষমেলা চলাকালীন শান্তিনিকেতনে ভিড় করেন। পর্যটকদের ভিড়ে জমজমাট থাকে মেলা প্রাঙ্গণ। হরেক রকম সামগ্রীর পসরা সাজিয়ে জমে ওঠে বেচা-কেনা। পৌষমেলাকে কেন্দ্র করে তৎপরতা বাড়ে বীরভূম জেলা পুলিশ প্রশাসনেরও। মেলা চত্বরে পর্যাপ্ত সুরক্ষার ব্যবস্থা রাখা হয়। পর্যটকদের নিরাপত্তার দিকে খেয়াল রেখে পুলিশ সহায়তা কেন্দ্রও থাকে।
এবারও নিরাপত্তার কোনও খামতি ছিল না শান্তিনিকেতনের পৌষমেলায়। তবে মেলার মাঠে পরিবেশ বিধি মানা হয়নি বলে অভিযোগ দূষণ নিুয়ন্ত্রণ পর্ষদের প্রতিনিধিদের। মেলা চলাকালীন কেন পরিবেশ বিধি মানা হয়নি তা জনাতে ইতিমধ্যেই বিশ্বভারতীর উপাচার্যকে চিঠি দিয়েছে দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ।
Be the first to comment