জে কে লোন হসপাতালে বেড়েই চলেছে শিশু মৃত্যুর ঘটনা ৷ চিকিৎসার সময় শেষ দু’দিনেই চার জন শিশুর মৃত্যু হয়েছে।নতুন বছরের প্রথম দিন মৃত্যু হয়েছে তিন জন শিশুর ৷ ২ জানুয়ারি মৃত্যু হয়েছে আরও এক শিশুর ৷ এদের সবাইকে নিওন্যাটাল ICU এবং FBNC তে ভরতি করা হয়েছিল।
১ডিসেম্বর থেকে ৩জানুয়ারির মধ্যেই ১০৪ জন শিশুর মৃত্যু হয়েছে ৷ যদি শেষ ছয় বছরের হিসাব দেখা যায়, তাহলে মোট ৬ হাজার ৬৪৬ জন শিশুর মৃত্যু হয়েছে জে কে লোন হাসপাতালে ৷ বেশিরভাগ শিশু কোটা, বারানড, বুন্দি, জালাওয়ার, চিত্তগড় এলাকা থেকে ভরতি হয়েছিল হাসপাতালে ৷
ঘটনায় রাজ্যের বিরোধী দল বিজেপির নিশানায় শাসক দল কংগ্রেস ৷ মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলতর সরকার এই বিষয়ে ব্যর্থ ৷ চাপে পড়ে সরকারের পক্ষ থেকে রাজ্যের স্বাস্থ্য মন্ত্রী রঘু শর্মা ও পরিবহন মন্ত্রী প্রতাপ সিং আজ কোটায় যান ৷ সকাল ১১টার সময় কোটার জেকে লোন হাসপাতালে যান তাঁরা ৷ জেলার প্রশাসনিক প্রধান ও মেডিক্যাল কলেজ স্টাফের সঙ্গে বৈঠক করেন তাঁরা ৷
মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলত বলেন, ‘‘দেশের মধ্যে আপনি যেখানেই যাবেন, হাসপাতালে কিছু না কিছু খামতি নজরে আসবেই ৷ তার উপর মিডিয়া এবং সাধারণ মানুষ আলোচনা করলে তবেই সেইগুলো সরকারের নজরে আসবে ৷’’ এদিকে শিশু মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে BJP-র সুরেই BSP নেত্রী মায়াবতী রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করেছেন ৷ রাজস্থানের শিশুমৃত্যুর ঘটনা নিয়ে রাজনৈতিক আসরে নেমেছেন যোগী আদিত্যনাথও। ঘটনার প্রসঙ্গে তাঁর বক্তব্য, ”কংগ্রেস সভাপতি সোনিয়া গান্ধি এবং সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াঙ্কা গান্ধি নিজেরা মহিলা হয়েও রাজস্থানের কোটা হাসপাতালে মৃত শিশুদের মায়ের দুঃখ বুঝতে পারলেন না, এটা দুঃখজনক।”
হাসপাতালের পক্ষ থেকেও কিছু পদক্ষেপ করা হয়েছে ৷ সাত জন নার্সিং স্টাফকে বরখাস্ত করা হয়েছে এবং ১৯ জন নতুন কর্মী নিয়োগ করা হয়েছে ৷ এছাড়া হাসপাতালে নতুন অক্সিজেন লাইনের ব্যবস্থাও করা হচ্ছে ৷
Be the first to comment